• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১, ০১:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১, ০১:৪৫ পিএম

‘শহীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা না হওয়া রাষ্ট্রের ব্যর্থতা’

‘শহীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা না হওয়া রাষ্ট্রের ব্যর্থতা’

১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের শহীদ ও সৈনিকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রনয়ন না করা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন  বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।

মহাসচিব বলেন, “মহান ভাষা আন্দোলনের এত সময় পরও শহীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা না হওয়া রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। কেউ  এই ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারে না।”

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “ভাষাসৈনিকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানের দাবিতে” বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম মোস্তফা বলেন, “মহান ভাষা আন্দোলনের এত সময় পরও শহীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা হয়নি। প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ১৯৫২ সালের ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকারি বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে বহু লোক নিহত হলেও তারা সবাই স্বীকৃতিও পাননি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ভাষাশহীদ আসলে কতজন এই তথ্য চিরকাল অজানা থেকে যাবে যদি সরকার সংরক্ষিত তথ্যাদি প্রকাশ না করে।”

ভাষা আন্দোলনের জাতীয় বীরদের রাষ্ট্রীয় সম্মান, সম্মানী ও সম্মাননা দেওয়া পরম দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মহাসচিব বলেন, “দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের পরও ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের তালিকা প্রনয়ন না হওয়া এবং তাদেরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্তের সময় ক্ষেপণ দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক।”

এদিকে জাসদ উপেদষ্টা এনামুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “সারা বছর শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষাসহ ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক স্থানগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্যও সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।”

সৈয়দ মইনুজ্জামান লিটু বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের মতো ভাষাসৈনিকদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রদান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পাশাপাশি এই ভাষাসৈনিকদের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভাতা চালু করা সময়ের দাবি।”

সভাপতির বক্তব্যে স্বপন কুমার সাহা বলেন, “ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং ভাষাশহীদদের অবদানকে তুলে ধরতেই স্বীকৃতি প্রয়োজন।”

বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা'র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাসদ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এনামুজ্জামান চৌধুরী, গণ রাজনৈতিক জোট-গর্জো সভাপ্রধান সৈয়দ মইনুজ্জামান লিটু, জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গণতান্ত্রিক ঐক্য আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম, ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভূঁইয়া, আইন সম্পাদক আবদুস সাত্তার।