• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১, ০২:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১, ০৯:২৬ পিএম

তালা ভেঙে হলে প্রবেশ জাবি শিক্ষার্থীদের

তালা ভেঙে হলে প্রবেশ জাবি শিক্ষার্থীদের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল খোলার দাবিতে দেওয়া আল্টিমেটাম শেষে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে তারা হলের তালা ভাঙতে শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এসে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

শিক্ষার্থীদের হল খোলার দাবির বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, “বর্তমান মহামারি এবং রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এটা একান্তই সরকারি সিদ্ধান্ত। সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সরকার যে মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে, সঙ্গে সঙ্গেই আমরা হলগুলোও খুলে দেব।”

এ বিষয়ে জাবি প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেছেন, “এ মুহূর্তে সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খোলার অভিপ্রায় নেই প্রশাসনের। আমরা পুরো ব্যাপারটি পর্যবেক্ষণ করছি।”

এর আগে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন গেরুয়া এলাকায় জাবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫ জন।

এই ঘটনার প্রতিবাদে সকালে আবাসিক হল খোলাসহ ৩ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীরা বেলা ১২টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার আল্টিমেটাম দেন। আল্টিমেটাম শেষ হওয়া পর তারা তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন।

আন্দোলনকারীরা ‘আজকেই হল খুলে দিবি’ স্লোগান দিয়ে আল বেরুনী হলের তালা ভাঙেন। এরপর সাড়ে ১২টার দিকে ফজিলাতুন্নেছা হলের তালা ভাঙেন। একে একে সব হলের তালা ভাঙতে শুরু করেন তারা।

এখন পর্যন্ত আল বেরুনি, ফয়জুন্নেসা, ফজিলাতুন্নেছা, খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা, জাহানারা ইমাম, প্রীতিলতা, সুফিয়া কামাল, বঙ্গমাতা হলের তালা ভাঙা হয়েছে। আরও ৭টি হল বাকি আছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, এখন থেকে তারা হলেই থাকবেন।