• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১, ০৮:৫১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১, ১০:৫৯ এএম

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের এক যুগ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের এক যুগ

রাজধানীর পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হলো। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এতে প্রাণ হারান ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন।

হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হলেও আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহে হত্যার দায়ে করা মামলাটি। তবে সময় সাপেক্ষ হলেও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।  

এই দিনটি স্মরণে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে যাবেন নিহত সেনা কর্মকর্তাদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিজিবির মহাপরিচালক এবং নিহত কর্মকর্তাদের স্বজনরা।

এ ছাড়া নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সব সেক্টর, প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিটে পতাকা অর্ধনমিত রাখবে। শোক প্রকাশে বিজিবি সদস্যরা কালো ব্যাজও পরবেন।

এদিকে নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা সেক্টর মসজিদ এবং পিলখানার বর্ডার গার্ড হাসপাতাল মসজিদে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় বিজিবির কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদদের আত্মীয়স্বজন, পিলখানায় কর্মরত কর্মকর্তারা এতে অংশ নেবেন।

বিডিআর বিদ্রোহে হত্যার দায়ে মোট ৫৮টি মামলা করা হয়েছে। মামলায় বিডিআরের ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৭৮ জনকে খালাস দিয়ে রায় দেয় বিচারিক আদালত।

২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হন ১৮৫ জন আর ২০০ জনকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পেয়েছেন ৪৫ জন।

২০২০ সালের ১৩ জানুযারি ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্র ও আসামি উভয় পক্ষ।