• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১, ০৩:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১, ১২:৪৩ এএম

জিয়ার খেতাব বাতিলে কমিটি

জিয়ার খেতাব বাতিলে কমিটি

জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। 

এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি জামুকার সভায় জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব  ‘বীর উত্তম’ বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়।

জামুকার সদস্য ও সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেনকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও মো. রশিদুল আলম।  তারা দুজনই জামুকার সদস্য।

জামুকা যেসব অপরাধের জন্য জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সংবিধান লঙ্ঘন, সংবিধানের মূলনীতি বাতিল, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের মদদ দেওয়া ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা, বিভিন্ন সময় আত্মস্বীকৃত খুনিদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ, আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততামূলক বক্তব্য উল্লেখ থাকা, তাদের দেশত্যাগে সহায়তা ও গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন এবং মুক্তিযোদ্ধা হয়েও স্বাধীনতাবিরোধী লোকজন নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “জিয়াউর রহমান সরাসরি বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।  এ ধরনের ব্যক্তি খেতাবধারী থাকবেন, তা তো মেনে নেওয়া যায় না।  এজন্যই তার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা ।”

জিয়াউর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা সনদও বাতিল হবে কি না, জানতে চাইলে কমিটির প্রধান আরও বলেন, “শুধু খেতাবটাই আপাতত বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা থাকবেন।”

এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি জামুকার সভায় জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরীফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়।

স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব হঠাৎ করে বাতিলের সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্যমূলক বলছে বিএনপি। জামুকার এখতিয়ার নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলেছেন।