বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ থেকে চালু হচ্ছে ভারতের জলপাইগুড়ি (এনজেপি) ও ঢাকার মধ্যে রেল যোগাযোগ। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।

খবরে বলা হয়, প্রতি সপ্তাহে দুদিন এ ট্রেন চলবে। সোমবার ও বৃহস্পতিবার ট্রেনটি এনজেপি থেকে ছেড়ে আসবে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়বে মঙ্গলবার ও শুক্রবার। গন্তব্যে পৌঁছাতে বিরতিহীন ৯ ঘণ্টার যাত্রা করবে ট্রেনটি। ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ থাকবে ট্রেনটিতে। 

বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুই দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠকে ট্রেন চালুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পাকশি রেলওয়ে বিভাগের ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম এবং ভারতের পক্ষে কাটিহার বিভাগের ম্যানেজার রবীন্দ্র কুমার ভার্মা।

রবীন্দ্র কুমার ভার্মা জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষকে সামনে রেখে নতুন করে পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত রেল পরিষেবা শুরু হচ্ছে।

পর্যটনশিল্পে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এই রেল সেবা চালু হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন রবীন্দ্র কুমার ভার্মা।

রবীন্দ্র কুমার ভার্মা আরও জানান, জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকার দূরত্ব ৫৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৪৪৬ কিলোমিটার। ২৬ মার্চ এনজেপি থেকে দুপুর ২টায় ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে। পর্যটন শিল্পে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এই রেল সেবা চালু হচ্ছে।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল বৈঠকে এ রেলপথ চালুর উদ্যোগ নেন।

এর আগে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয়। এছাড়া ভারতের হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি পর্যন্ত আরও একটি ট্রেন পরিষেবা চালু হবে বলে জানানো হয়।