কাশিমপুর কারাগারের মৃত্যু হওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শাফী মোহাইমেন বলেন, ‘মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তৈরির পর বিস্তারিত বলা যাবে।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে মুশতাকের মরাদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু যেভাবেই হোক সেটার তদন্ত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যান মুশতাক আহমেদ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, সন্ধ্যায় সোয়া সাতটার দিকে মুশতাক আহমেদ কারাগারে মাথা ঘুরে পড়ে অচেতন হয়ে যান। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে পরে অবস্থান উন্নতি না হলে দ্রুত তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর ৮টা ২০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষাভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর ডাকে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, কার্টুনিস্ট কিশোরের মুক্তি দাবি করা হয়।