• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১, ০৭:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১, ০৯:৪৫ পিএম

মশাল মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ২০ 

মশাল মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ২০ 
ছবি: আরশাদুল এইচ রকি

লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে শাহবাগে বাম প্রগতিশীল ছাত্র জোটের মশাল মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হয়। পুলিশের লাঠিপেটায় এক পর্যায়ে আন্দোলকারীদের কয়েকজন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় আহত হয় কমপক্ষে ২০জন। এরপর মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে আবার মিছিল শুরু হলে পুলিশ আবারও তাদের পিছু হটানোর চেষ্টা করে।  

আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মশাল মিছিল থেকে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের মুক্তিও দাবি করা হয়। পুলিশের বাধার মুখে মশাল মিছিলটি বেশিদূর যেতে পারেনি। টিএসসি থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি মিশুক মুনীর চত্বর হয়ে শাহবাগের দিকে যাওয়ার সময় জাতীয় জাদুঘরের সামনে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। আগে থেকেই পুলিশ সেখানে বেরিক্যাড দিয়ে রেখেছিল।  

এর আগে দুপুরে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের পক্ষে এর সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ মার্ক্সবাদী) সভাপতি আল কাদেরী মশাল মিছিল ও আগামী ১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন। 

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ঢাকা নগর শাখার সভাপতি রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল করার সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে।  আমাদের চল্লিশ জনের মতো আহত হয়েছে।" এসময় তিনি কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান। ফরিদ আরো জানান, আগামী সোমবার (১ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার কর্মসূচি রয়েছে তাদের। 

 

এদিকে,  শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উর রশীদ গণমাধ্যমকে জানান, আত্মরক্ষার জন্যই তারা লাঠিচার্জ করেছেন।

এর আগে বিকেল চারটার দিকে লেখক মুশতাক আহমেদের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র অধিকার পরিষদ জাতীয় জাদুঘরের সামনে জানাজার আয়োজন করে। এতে ইমামের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন।

র‌্যাবের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মুশতাক আহমেদ গত বছরের মে মাস থেকে কারাবন্দী ছিলেন। শুরু তিনিই নন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ওই সময় র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন।