• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২১, ১২:৩৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২, ২০২১, ১২:৩৫ এএম

মুনীর চৌধুরীর স্ত্রী অভিনেত্রী লিলি চৌধুরী আর নেই

মুনীর চৌধুরীর স্ত্রী অভিনেত্রী লিলি চৌধুরী আর নেই

শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর স্ত্রী, প্রয়াত সাংবাদিক মিশুক মুনীরের মা নাট্যাভিনেত্রী লিলি চৌধুরী আর নেই। বেতার, মঞ্চ ও টেলিভিশনের একসময়ের ব্যস্ত এই অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বনানীর বাসায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছোট ছেলে আসিফ মুনীর তন্ময়।

আসিফ মুনীর জানান, আত্মীয়-স্বজনদের দেখার জন্য তাঁর মায়ের মরদেহ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বনানীর বাসায় রাখা হবে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। জোহরের পর বনানী কবরস্থানে জানাজা শেষে ছেলে মিশুক মুনীরের কবরের পাশে দাফন করা হবে লিলি চৌধুরীকে।

১৯২৮ সালের ৩১ আগস্ট টাঙ্গাইলের জাঙ্গালিয়া গ্রামে নানা বাড়িতে লিলি মির্জার জন্ম। বাবা নূর মোহাম্মদ মির্জার ছিল বদলির চাকরি। সেই সুবাদে তৃতীয় শ্রেণি থেকেই হোস্টেল জীবন শুরু হয় তাঁর। কলকাতায় বেগম রোকেয়া প্রতিষ্ঠিত সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলে লিলিকে ভর্তি করে দেন তাঁর বাবা।

সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালে রবীন্দ্রনাথের নাটকে লিলির প্রথম অভিনয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল কিছুদিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেলে দিল্লিতে বাবা মায়ের কাছে চলে যান তিনি। সেখানে গিয়ে ভর্তি হন ইন্দ্রপ্রস্থ গার্লস হাই স্কুলে।

দুই বছর পর আবার কলকাতায় ফিরে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল থেকেই প্রবেশিকা শেষ করেন লিলি। এরপর লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে পড়ার সময় দুই বছর হোস্টেল জীবনেও কলেজের নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতে থাকেন। 

এর মধ্যেই দেশভাগের সেই অস্থির সময়ে কলকাতাজুড়ে দাঙ্গা শুরু হয়। ১৯৪৮ সালে নূর মোহাম্মদ মির্জা ঢাকায় চলে আসেন। সেসময় লিলি মির্জার পরিচয় হয় মুনীর চৌধুরীর সঙ্গে।

লিলি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বাম রাজনীতিতে জড়িত মুনীর চৌধুরী ১৯৪৯ সালের মার্চে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। পাঁচ মাস পর মুনীর মুক্তি পেলে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।