• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২১, ০৩:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৮, ২০২১, ০৩:৩০ পিএম

ঘরের কাজে নারীরা প্রাপ্য পারিশ্রমিক পাচ্ছেন কি?

ঘরের কাজে নারীরা প্রাপ্য পারিশ্রমিক পাচ্ছেন কি?

সারাদিন সংসারে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন আমাদের নারীরা। অনেক বাঙালি নারী স্বামী-সন্তানসহ ঘরের সব কাজ একাই সামলান। যদিও বর্তমানে ঘরের বাইরেও পুরুষের সাথে সমান তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন নারীরা।

তবে অফিসের কাজের সঙ্গে ঘরের কাজেও তাদেরকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হচ্ছে। কিন্তু এই গৃহস্থালি কাজের যেমন স্বীকৃতি নেই, তেমনি নেই কোন পারিশ্রমিক।

সম্প্রতি চীনে এক বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় তালাক দেয়ার শর্ত হিসেবে স্বামীকে স্ত্রীর ঘরের সব কাজের জন্য পারিশ্রমিক দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এশিয়ার একটি দেশের এই রায় সাড়া ফেলেছে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও। 

বছরের শুরুতে চীনে নতুন আইন কার্যকর হয়েছে। এর মাধ্যমে, বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণবাবদ স্বামী বা স্ত্রী ঘরের কাজের জন্য পারিশ্রমিক দাবি করতে পারবেন।

এ আইনে নারী-পুরুষ উভয়ের কথা থাকলেও যেহেতু নারীরা ঘরের কাজে বেশি সময় দিয়ে থাকেন, তাই ক্ষতিপূরণটা তাদের পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

অন্যদিকে এশিয়ার আরেক দেশ ভারতেও নারীদের গৃহস্থালি কাজের পারিশ্রমিক দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা কমল হাসান তার রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে নারীদের গৃহস্থালি কাজের জন্য পারিশ্রমিক দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারপর থেকেই এ নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক। 

আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন, আইএলও এর জরিপে দেখা যায় বিশ্বে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৬ ঘণ্টা ঘরের কাজ করেন নারীরা। এমনকি কর্মজীবী নারীরাদের জন্যেও অফিসে থেকে বাসায় ফিরলে জমে থাকে হাজারটা ঘরের কাজ। সেখানে পুরুষেরা গৃহস্থলির কাজ করেন দিনে মাত্র ১ঘণ্টা ২০ মিনিটের মতো। 

এ বিষয়ে ভারতীয় বিশ্লেষক গৌতম ভাটিয়া বলেন, অবৈতনিক গৃহস্থালি কাজ অনেকটা জোরপূর্বক কাজ করানোর মত। দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অর্পণ তুলসী বলেন, গৃহস্থালি কাজের অবশ্যই আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করা উচিত।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিকের এক জরিপের বরাতে সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা প্রায় দ্বিগুণ পরিমানে গৃহস্থালির কাজ করে থাকেন। এসব কাজের মধ্যে রয়েছে রান্নাবান্না, বাচ্চাদের লালন-পালন, ঘর পরিষ্কার রাখা, বয়োজেষ্ঠদের সেবাসহ আরো অনেক কাজ। 

সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমান অবদান রাখায় ঘরের কাজেও দুজনের ভূমিকা সমান হওয়ার কথা। আর এই অধিকার নিশ্চিত করা প্রতিটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অথচ বেশিরভাগ দেশেই নারীরা বঞ্চিত হচ্ছে এই ন্যায্য অধিকার থেকে। নারীমুক্তির আর নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে তাই ঘরে-বাইরে তাদের প্রতিটি কাজের মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন