• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২১, ০৮:২৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১, ২০২১, ১১:০৮ এএম

‍সংক্রমণ ২ থেকে ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে‍‍

‍সংক্রমণ ২ থেকে ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে‍‍

করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার ২ থেকে ২০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “গত এক মাস আগে আক্রান্তের হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ। এখন এটি প্রায় ২০ শতাংশে চলে গেছে। দিনে ৫ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যুর সংখ্যাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকে তাহলে গোটা ঢাকা শহরকে হাসপাতাল করে ফেললেও রোগী রাখার জায়গা দেওয়া যাবে না। এর জন্য যা করার এখনই করতে হবে।”

বুধবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ এ ক্রমাগত অবনতি, সার্বিক পরিস্থিতি, হাসপাতালের সুযোগ সুবিধা ও শয্যা বৃদ্ধি’ বিষয়ে বিপিএমসিএর সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, “এই মুহূর্তে যা করতে হবে তা হচ্ছে, যে যে স্থান থেকে করোনা সৃষ্টি হচ্ছে সেই সব স্থানে এখনই জরুরি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোগে সরকারিভাবে দ্রুততার সঙ্গে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আড়াই হাজার বেড বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৪০টি নতুন আইসিইউ বেড স্থাপন করা হচ্ছে।”

মন্ত্রী আরও বলেন, “ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশন হাসপাতালটি কোভিড ডেডিকেটেড করা হচ্ছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালসহ দেশের বেশির ভাগ হাসপাতালে শত শত শয্যা কোভিড ডেডিকেটেড করা হচ্ছে।”

“সব পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল, যানবাহনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রসমূহে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিয়ে-শাদি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পিকনিক আয়োজন বন্ধ রাখতে হবে। সব মানুষকে মুখে মাস্ক পরতে হবে। কারণ এখনই করোনাকে নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারলে নিকট ভবিষ্যতে করোনাকে আর খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করা ভীষণ কঠিন হয়ে পড়বে” যোগ করেন মন্ত্রী।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের মালিক,পরিচালক ও চেয়ারম্যানদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “কোভিড বেড সংখ্যা কমপক্ষে দেড় থেকে দুই হাজার বৃদ্ধি করতে হবে।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এই মুহূর্তে কোভিডকে মোকাবিলা করাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সাধারণ মানুষ এখন বেপরোয়া চলাফেরা করছে। এটিকে থামাতেই হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও কোভিড মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।”