• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২১, ০১:১৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৫, ২০২১, ০২:৩৪ পিএম

বাস ছাড়া সবই চলছে

বাস ছাড়া সবই চলছে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় এক সপ্তাহ জনসাধারণের চলাচলের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বাস। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে খোলা রয়েছে প্রায় সবকিছুই। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষরা।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, দোকানপাট, বাজার, জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সকল কিছুই খোলা রয়েছে। রাস্তায় চলাচল করছে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, রিকশাসহ সকল ধরনের যানবাহন। শুধু বন্ধ রয়েছে বাস। ফলে সাধারণ কর্মজীবী মানুষরা কর্মস্থলে যেতে পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। 

সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে তাদের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালনার জন্য নিজস্ব পরিবহনে কর্মীদের আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হলেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান তা করেনি। ফলে কর্মীদের নিজ দায়িত্বেই কর্মস্থলে পৌঁছাতে হয়। কেউ আসেন হেঁটে, কেউ রিকশা সিএনজিতে ভেঙে ভেঙে, কেউবা আবার সিএনজি বা রিকশায় অন্যজনের সাথে ভাগাভাগি করে কর্মস্থলে পৌঁছান। এ কারণে অনেকের কর্মস্থলে পৌঁছাতে দেরিও হয়।

এদিকে যে কারণে সরকার এই কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছেন সেই স্বাস্থ্যবিধিও মানছেন না অনেকে। কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় সেখানে কেউই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না। মাস্কও পড়ছেন না অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা। শুধু বাজারে নয়, রাস্তায়ও একই চিত্র দেখা যায়। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মানুষ একই সিএনজি-রিকশাতে পাশাপাশি বসে যাতায়াত করছেন।

সজীব খান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, “অন্যদিনের চেয়ে আজকে যাতায়াতে অনেক প্যারা খাওয়া লাগছে। সাধারণ মানুষদের অনেক হেনস্তা হওয়া লাগছে। আমি মিরপুর ২ থেকে অনেকগুলো যানবাহন পাল্টে কারওয়ানবাজার পৌঁছেছি। এখন রিকশা নিয়ে যাচ্ছি কাকরাইল। তারপর সেখান থেকে যাবো পল্টন। অন্যসময় মাত্র একটা গাড়িতেই যেতে পারতাম এখন অনেকগুলো গাড়ি পাল্টাতে হচ্ছে। ভাড়াও আজকে একটু বেশি।”

রামপুরা থেকে মাইক্রোবাসে করে কারওয়ান বাজারে এসেছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মৃণাল। তিনি বলেন, “করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য গণপরিবহন বন্ধ করা হলেও রাস্তায় যেসব গাড়ি চলছে সেগুলো কম যাত্রী পরিবহন করছে না। আগে যেভাবে চলতে এখনো সেভাবে চলছে। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যানবাহন পেতে বেশি দেরি হচ্ছে।”