• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২১, ১০:০০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৮, ২০২১, ১১:৩৭ এএম

বিপদ বাড়াচ্ছে দ. আফ্রিকার ধরন

বিপদ বাড়াচ্ছে দ. আফ্রিকার ধরন

দেশে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে করোনার সংক্রমণ। শনাক্ত ও মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতির এমন অবনমনের পেছনে রয়েছে ভাইরাসটির দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন (ভ্যারিয়েন্ট)। অন্তত এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে আইসিডিডিআরবি’র যৌথ গবেষণায় দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটির বিস্তারের চিত্র উঠে এসেছে।

গবেষণার হালনাগাদ সর্বশেষ ফলাফল বুধবার আইসিডিডিআরবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, এই মুহূর্তে দেশে দক্ষিণ আফ্রিকা ধরনের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি।

গত ১৮ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে গবেষকরা ৫৭টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে ৪৬টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের উপস্থিতি পেয়েছেন, যা ৮১ শতাংশ। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ধরন ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণশীল।

এর আগে ১২ থেকে ১৭ মার্চ গবেষকরা ৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করেন এবং ৬৪টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন পাওয়ার কথা জানান, যা ৬৪ শতাংশ।

গত ৫ জানুয়ারি প্রথম যুক্তরাজ্য থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনার ধরন শনাক্ত হয় দেশে। আর দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয় ৬ ফেব্রুয়ারি।

জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকার এই ধরন ‘এন ৫০১ ওয়াই’ নামের একটি মিউটেশন (রূপান্তর) বহন করে, যা এটিকে আরও সংক্রমণ বা ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে। এই ভাইরাসের আরেকটি মিউটেশন ‘ই৪৮৪কে’ আরও ভয়াবহ। এটি টিকার কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলে করোনার এই ধরন যত ছড়িয়ে পড়বে, ততই সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।

গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে রেকর্ড ৭৬২৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৬৩ জন, যা এক দিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এ নিয়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৪৪৭ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জন।