বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ। পাশাপাশি টিকার প্রথম ডোজের কার্যক্রমও যথারীতি চলছে। 

সকাল থেকে সারা দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। তবে টিকাগ্রহীতাদের উপস্থিতি তেমন লক্ষ করা যায়নি। অন্যদিকে টিকার দ্বিতীয় ডোজের কোনো মোবাইল বার্তা না পাওয়ায় অনেকেই দ্বিধায় রয়েছেন।  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন  প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ডিপয়মেন্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, টিকার দ্বিতীয় ডোজের পাশাপাশি প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এসএমএসে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী আগের টিকাদান কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে হবে।

সারা দেশে দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম চলছে বলেও জানিয়েছেন সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি জানান, দেশজুড়ে টিকা পাঠানো হয়েছে। জেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটি নিজ নিজ জেলার টিকা গ্রহণ করেছেন। আসন্ন রমজান মাসেও টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। টিকা কার্ড সঙ্গে নিয়ে আসা আবশ্যক।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, টিকা নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ও ক্যাবল টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ জন টিকা গ্রহণ করেছেন।

ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়ে কিছু সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জনসাধারণের উদ্দেশে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- 

• ৮ এপ্রিল থেকে এসএমএস পাওয়া সাপেক্ষে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে।
• যারা যোগ্য হবেন তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস চলে যাবে।
• যাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার পর দুই মাস অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু এসএমএস পাননি তারা অবশ্যই টিকা কার্ড এবং টিকা কার্ডের ফটোকপি নিয়ে টিকা কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন।
• দ্বিতীয় ডোজের জন্য আগত সবাইকে টিকা কার্ড এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে হবে।
• কারও টিকা কার্ড হারিয়ে গেলে কিংবা কোনো কারণে নষ্ট হয়ে গেলে অনলাইন থেকে পুনরায় কার্ড নেওয়া যাবে।
• দুই মাস পূরণের আগে ২য় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে না, তবে পরে নেওয়া যাবে (১২ সপ্তাহ পর্যন্ত)।
• রেজিস্ট্রেশনকৃত হজযাত্রীদের বয়স ১৮ বছরের বেশি হলেই রেজিস্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। (এমন হজযাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। তাদের দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন নিতে বলা হয়েছে। সৌদি আরবের হজ কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রমাণপত্র ছাড়া এ বছর হজে অংশ নিতে দেওয়া হবে না)।
• প্রথম ডোজের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি আগের মতোই চলবে।
• রমজান মাসেও টিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
• প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে হবে।
• রোজা রেখে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে,
• কেন্দ্র পরিবর্তন করে আপাতত দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে না।
• টিকাকেন্দ্রে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরে আসতে হবে
• প্রত্যেক টিকা গ্রহণকারীকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
• ভ্যাকসিনদাতা এবং স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতা করলে গ্রহীতার কাজ দ্রুত এবং সহজ হবে।
• বাইরে গেলেই ঘরে ফেরার পর সাবান-পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে।
• সঠিক তথ্যের প্রয়োজনে ৩৩৩, ৯৯৯ অথবা ১৬২৬৩ হেল্প লাইনে ফোন করা যাবে।