• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২১, ১১:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৫, ২০২১, ১১:১৯ এএম

‘খেয়ালি লকডাউন বন্ধ করে মানুষ বাঁচান‍‍’

‘খেয়ালি লকডাউন বন্ধ করে মানুষ বাঁচান‍‍’

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী দয়া করে আপনার স্বাস্থ্য-স্বরাষ্ট্র-খাদ্যমন্ত্রী ও সচিবদের প্রস্তাবিত খেয়ালি লকডাউন বন্ধ করে মানুষ বাঁচান, দেশ বাঁচান।”

বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় ‘অপরিকল্পিত লকডাউনে নির্মমতা থেকে মুক্তি’ অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মুভমেন্ট পাস-এর জন্য নির্মিত কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়েবসাইটের সঙ্গে সম্পৃক্তদের সমালোচনা করে মোমিন মেহেদী আরও বলেন, “‘সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল’-এর চিন্তা থেকে কোটি কোটি টাকা অপচয় না করে পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন, যাতে সাধারণ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতে পারে আবার লকডাউনও মোকাবেলা করা সম্ভব হয়।”

মোমিন মেহেদী বলেন, “বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বাড়ি ভাড়া-পরিবারের ভরণপোষণ করতে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করছে। সাধারণ মানুষের আর্তনাদ শুনুন।”

অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও  দেশ ও মানুষের স্বাস্থ্য-খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-নিরাপত্তা এমনকি শিক্ষাধিকার দিতেও ব্যর্থ হয়েছেন বর্তমান সরকারে থাকা ষড়যন্ত্রকারী কিছু মন্ত্রী-এমপি-সচিবদের কারণে।”

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মের রাজনীতিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনলাইন আলোচনা সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য রাশেদ চৌধুরী, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন সেনগুপ্ত, হাসান চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, কেবল অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তর কারণে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের সময় লকডাউন না দিয়ে উৎসব করেছেন আর এখন লকডাউনে নিরন্ন মানুষের সংখ্যা বাড়াচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দেশ ও মানুষের স্বাস্থ্য-খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-নিরাপত্তা এমনকি শিক্ষাধিকার দিতেও ব্যর্থ হয়েছেন বর্তমান সরকারে থাকা ষড়যন্ত্রকারী কিছু মন্ত্রী-এমপি-সচিবদের কারণে। উত্তরণে নতুন প্রজন্মের রাজনীতিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের লক্ষ্যে।