• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২১, ০৪:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৯, ২০২১, ০৬:১১ পিএম

করোনা হাসপাতালে প্রথম দিনেই ভর্তি প্রায় অর্ধশত

করোনা হাসপাতালে প্রথম দিনেই ভর্তি প্রায় অর্ধশত

দেশের সর্ববৃহৎ করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনই ভর্তি হয়েছেন প্রায় অর্ধশত রোগী। এদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ কয়েকজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করতে হয়েছে।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে জাগরণ অনলাইনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন।

দেশে প্রতিনিয়ত করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে নির্মাণাধীন এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের একাংশের কার্যক্রম শুরু করা হয়। রোববার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ডিএনসিসি মার্কেটের এই হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। উদ্বোধনের পর সোমবার থেকেই শুরু করা হয় রোগী ভর্তি কার্যক্রম।

হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা সকাল ৮টা থেকে রোগী ভর্তি শুরু করেছি। ভর্তি কার্যক্রম শুরুর পর থেকে বেশ গুরুতর অসুস্থ রোগীও আসছেন। ইতোমধ্যে ৪০ জনের ওপর রোগী ভর্তি হয়েছেন। (এ তথ্য দুপুর দুটার আগ পর্যন্ত, পরে এ সংখ্যা বেড়েছে) এর মধ্যে দুই তিনজনকে আইসিইউতেও স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিরা ইমারজেন্সি বিভাগে আছেন। রোগী ভর্তি কার্যক্রম চলমান আছে।”

আপাতত হাসপাতালের একাংশের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা আপাতত ৫০টি আইসিইউ, ৫০টি জরুরি বেড এবং ১৫০টি এক কক্ষ বিশিষ্ট আইসোলেশন ব্যবস্থা নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছি। মার্কেটের দোকানগুলোকে আইসোলেশন কক্ষ বানানোয় এগুলো অনেকটা টয়লেট ব্যবস্থা ছাড়া কেবিনের মতো।”

চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে নাসির উদ্দিন বলেন, “গতকাল পর্যন্ত ১৩০ জন চিকিৎসক ছিলেন। আজকেও নতুন করে কয়েকজন যোগ দিয়েছেন। নার্স আছেন ১৩০ জনের মতো। এছাড়া সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা মিলে আরো ১০০ জন কর্মকর্তা আছেন। ধীরে ধীরে বাকিরাও যোগদান করবেন।”

এই পরিচালক আরো জানান, হাসপাতালটি যখন পরিপূর্ণভাবে তৈরি হবে তখন ২১২টি আইসিইউ বেড থাকবে। এইচডিইউ থাকবে ২৫০টি, যেখানে হাইফ্লো নাজাল ক্যানোলা ও সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ বিভিন্ন উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া বাকিগুলো হবে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ আইসোলেশন বেড।

এর আগে সকালে ডিএনসিসি’র ফেসবুক পেইজে জানানো হয়, ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের প্রতিশ্রুতির মাত্র আট মাসের মাথায় শুরু হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’-এর রোগী সেবা কার্যক্রম।

ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালে আসা রোগীদের প্রথমে প্রাথমিক পরীক্ষা করা হবে। সংক্রমণ আছে এমন রোগীদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এরপর কারো ভর্তি প্রয়োজন হলে তাকে ভর্তি করা হবে। তা না হলে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের নেওয়া হবে বিশেষ বিভাগে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসকরা রোগীকে ভেন্টিলেটর, আইসিইউ অথবা জরুরি বিভাগে পাঠাবেন।
 

আরও পড়ুন