দেশের প্রথম মেট্রোরেলের সার্বিক কাজ শতকরা ৬১ দশমিক ৪৯ ভাগ শেষ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালে নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গোপালগঞ্জ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ওবায়দুল কাদের এ তথ্য দেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও অংশের পূর্তকাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৩ দশমিক ৫২ ভাগ, দ্বিতীয় পর্যায়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্তকাজের অগ্রগতি শতকরা ৫৭ দশমিক ৬৮ ভাগ, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি শতকরা ৫২ দশমিক ২২ ভাগ শেষ হয়েছে। মেট্রোরেল নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৬১ দশমিক ৪৯ ভাগ শেষ হয়েছে।

মেট্রোরেলে মোট কোচের সংখ্যা ১৪৪টি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তার মধ্যে গত বুধবার (২১ এপ্রিল) ছয় কোচ বিশিষ্ট প্রথম মেট্রোরেল সেট ঢাকার উত্তরাস্থ ডিপোর নবনির্মিত ডিএমটিসিএল জেটিতে পৌঁছেছে।”

দ্বিতীয় সেটের জাহাজীকরণ জাপানের কোবে সমুদ্রবন্দরে বুধবার (২১ এপ্রিল) সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, “আশা করা হচ্ছে আগামী ১৬ জুনের মধ্যে দ্বিতীয় সেটটি বাংলাদেশের মংলা বন্দর হয়ে উত্তরার ডিপোতে পৌঁছাবে।”

তৃতীয় ও চতুর্থ মেট্রোরেল সেটের শিপমেন্টের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ১১ জুন ও ১৩ আগস্টের মধ্যে মোংলাবন্দর হয়ে উত্তরাস্থ ডিপোতে  পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি পঞ্চম ট্রেন সেটের জাপান থেকে শিপমেন্টের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ১৬ জুলাই ও বাংলাদেশে পৌঁছানোর সম্ভাব্য তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর বলে জানান।

গোপালগঞ্জ জোনের প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওবায়দুল কাদের করে বলেন, “টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলকে কেন্দ্র করে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা যাওয়া করে। তাই জোনের অধীন সড়কগুলোকে সারা বছরই মেইনটেইন এবং মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে।”

সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) মনির হোসেন পাঠান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আব্দুল মালেক, গোপালগঞ্জ সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তারা সভায় অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।