• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২১, ০২:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৮, ২০২১, ০২:৩৭ পিএম

গণপরিবহন বন্ধ, তবু রাজধানীতে তীব্র যানজট

গণপরিবহন বন্ধ, তবু রাজধানীতে তীব্র যানজট

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট লক্ষ করা গেছে। যদিও ৫ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই সড়কে অধিক পরিমাণে প্রাইভেট কার চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেকেই মনে করছেন রোজার ঈদ এগিয়ে আসার সঙ্গে যানজট আরও বাড়তে থাকবে।

এদিকে চলমান বিধিনিষেধ ৫ মে (বুধবার) মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বুধবার (২৮ এপ্রিল) এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কয়েকটি শর্ত সংযুক্ত করে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপের সময় বর্ধিত করা হলো।

জানা যায়, রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে রাজধানীতে দোকানপাট ও শপিং মল খুলে দেওয়া হয়। এর পর থেকে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ।

কর্মস্থলমুখী মানুষের ঢল সোমবার থেকে আরও বেড়ে যায়। একমাত্র গণপরিবহন চলাচল ছাড়া সবকিছু যেন স্বাভাবিক। দূরপাল্লার বাসগুলো বন্ধ থাকলেও ভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরবাইক, পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে অনেকেই ঢাকামুখী হয়েছেন। রাজধানীর পথে পথে প্রাইভেটকারের সারি। প্রায় প্রতিটা ক্রসিংয়ে যানজট। যেন রাজধানীর পুরোনো চেহারা।

এদিকে সোমবার (২৬ এপ্রিল)  মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ছিল রাজধানীমুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ফেরিতে গাদাগাদি করে নদী পারাপার হতে দেখা গেছে তাদের।

দৈনিক জাগরণের এক প্রতিবেদক বাসা থেকে অফিসে আসার পথে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে তীব্র যানজটে পড়েন।

এই প্রতিবেদক জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে তাকে কমপক্ষে ২০ মিনিটের মতো যানজটে পড়ে থাকতে হয়। সড়কে শুধু বাসই দেখা যায়নি। তাছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরবাইক, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস সবই দেখা গেছে।

এদিকে, রাজধানীর শাহাজাদপুর, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল ও পল্টন এলাকায় যানজট লক্ষ করা গেছে বলে জানান জাগরণের প্রতিবেদক সুব্রত চন্দ।

এই প্রতিবেদন জানান, বিধিনিষেধ ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও বুধবার সকাল থেকে ওই এলাকাগুলিতে তীব্র যানজট দেখা গেছে। একই সঙ্গে পুলিশের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।