• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২১, ০৮:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৮, ২০২১, ০৮:০১ পিএম

যা লেখা আছে মুনিয়ার ডায়েরিতে

যা লেখা আছে মুনিয়ার ডায়েরিতে

মোসারাত জাহান মুনিয়ার নিজ হাতে লেখা ছয়টি ডায়েরি আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

বুধবার নিজ কার্যালয়ে সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনার শিকার নারীকে হতাশা গ্রাস করেছিল। তিনি (মুনিয়া) মারাত্মক মনঃকষ্টে ছিলেন। ডায়েরির পাতায় পাতায় মানসিক বিপর্যস্ততার প্রমাণ আছে। মানসিক বিপর্যয়ের মুখেই তাকে (মুনিয়া) হয়তো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, “সম্পর্কের সামাজিক স্বীকৃতি, দাম্পত্য জীবন নিয়ে প্রত্যাশা, প্রতিবন্ধকতা, তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ও পারিবারিক সমস্যার কথা লিখে গেছেন ভুক্তভোগী নারী। এই মামলা প্রতিষ্ঠায় ডায়েরি আদালতে জরুরি হবে। ডায়েরির তথ্য অনুযায়ী পুলিশ প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্য গ্রহণ করবে।”

ডিসি সুদীপ বলেন, “উদ্ধারকৃত ছয়টি ডায়েরি আমরা এগুলো যাচাই-বাছাই করছি। এখানে অনেক কিছু লেখা রয়েছে। মামলার তদন্তে এগুলো কাজে লাগবে।”

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ডায়েরির একটি পাতায় সায়েম সোবহান আনভীরকে উদ্দেশ্য করে লেখা রয়েছে, “আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হয়েছে। আগামীকাল ভোরে এসে তুমি আর আমাকে পাবে না।”

পুলিশ কর্মকর্তারা আরো জানান, আত্মহত্যার আগে কোনো একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা হওয়ার কারণে মেয়েটি এসব কথা লিখেছেন বলে তারা ধারণা করছেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৯ সায়েম সোবহানের সঙ্গে মুনিয়ার পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর আগে বনানীর যে বাসায় তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকতেন, সেই বাসার সন্ধান পাওয়া গেছে।

পুলিশ বলছে, তারা সবগুলো বিষয়ে খতিয়ে দেখছেন। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, কল রেকর্ড বিশ্লেষণ, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ সবকিছু করা হচ্ছে।

এর আগে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া রাজধানীর গুলশানের যে ফ্ল্যাট থাকতেন সেখান থেকে ছয়টি ডায়েরি উদ্ধার করেন পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, “ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের পর সেখান থেকে তার মোবাইলসহ বিভিন্ন ধরনের আলামত জব্দ করা হয়েছে। সেখানে ৬টি ডায়েরি পাওয়া গেছে। এসব ডায়েরিতে কী লিখা আছে, তা যাচাই করা হচ্ছে।”

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের ‘প্ররোচনায়’ এই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন অভিযোগ করে তার পরিবার ইতোমধ্যে থানায় মামলা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর গুলশানের নিজের ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আনভীরকে আসামি করে মামলা করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান।