
স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই রাজধানীর শপিংমলগুলোতে কেনাকাটায় মেতে উঠেছেন ক্রেতারা। সেই সঙ্গে মার্কেটের ভেতরে কিংবা বাইরে যেখানেই জায়গা পাচ্ছেন সেরে নিচ্ছেন ইফতারও।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইফতারের আগ মূহুর্তে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিংমল ঘুরে দেখা মেলে এমন চিত্র। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ভিড়টা যেন একটু বেশিই। ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটার ধুম পড়ে। পরিবার নিয়ে শপিংমলে যাচ্ছেন ক্রেতারা। সবার জন্য কেনাকাটাও করছেন। এমনকি উপহারের পণ্যটি কিনতেও ভুল হচ্ছে না তাদের।
গ্রীনরোড থেকে আসা নাদিয়া নামে এক ক্রেতা বলেন, "ঈদের তো বেশিদিন বাকি নেই। বাচ্চাদের জন্য়ই তো ঈদ। তাই বাচ্চাদের জামা কিনতে এসেছি। এছাড়া পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরাও তো আছেন। তাদের জন্যও কেনাকাটা করছি। মাস্ক পরেছি। চেষ্টা করছি সাবধানে থাকার।"
বাসাবো থেকে আসা ক্রেতা মঈনুদ্দিন বলেন, "ঈদের সকালে নতুন পাঞ্জাবি পরবো। তাই একটা পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি। কিনেই চলে যাবো।"
এমন নানা অজুহাতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকে হয়তো কিছু কিনে নিচ্ছেন। আবার অনেকে ঘুরে দেখছেন কিছু পছন্দ হয় কিনা। শুধু তাই নয়, মার্কেটের মেঝেতে বসে ইফতারও করছেন অনেকে। সঙ্গে রয়েছে ছোট বাচ্চারাও।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ যখন উর্দ্ধোমূখী সেই সময় এমন চিত্র সত্যিই হতাশাজনক, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে ক্রেতা বাড়লেও অনেকটাই নিরাশ ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, গেল বছর ব্যবসা হয়নি। সেই অনুযায়ী এই বছর পুষিয়ে নিতে না পাড়লে বেশ ক্ষতি হবে।
তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় বিক্রি বাড়ায় আশাবাদী বিক্রেতারা। দাম হাতের নাগালে থাকায় বেশ খুশি ক্রেতারাও।
এর আগে সকাল থেকেই রাজধানীর নিউমার্কেট, চাঁদনী চক এবং গাউছিয়া মার্কেটেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও রাস্তায় জনসমাগম লক্ষ্য করা যায়। যাদের অনেকেই শপিংয়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছেন। যানজটও দেখা যায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে।
ঈদকে সামনে রেখে শনিবার পহেলা মে দোকান খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দোকান মালিকেরা।