• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২১, ০৪:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৮, ২০২১, ১২:৪৯ এএম

পুলিশের সামনেই চলছে দূরপাল্লার ‘সিটিং সার্ভিস’

পুলিশের সামনেই চলছে দূরপাল্লার ‘সিটিং সার্ভিস’

লকডাউনে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যান চলাচলের। নিষেধ থাকলেও ঢাকার অদূরে সাইনবোর্ড ও সিদ্ধিরগঞ্জে সামনে দেখা গেল উল্টো চিত্র। ট্রাফিক বক্সের সামনে থেকেই বিভিন্ন জেলায় যাত্রী পরিবহন করছে হাইয়েচ (মাইক্রোবাস) গাড়িসহ কয়েকটি সার্ভিস।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের এ স্থান থেকে অভিনব কায়দায় কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং চট্টগ্রাম রুটে এ সার্ভিস চালু আছে। ভাড়া নেওয়া হচ্ছে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ।

এসব পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা তো দূরের কথা, ১২ সিটের একটি হাইয়েচ (মাইক্রোবাস) নেওয়া হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী। কুমিল্লা ৩০০-৪০০, চাঁদপুর ৫০০-৬০০, নোয়াখালী ৬০০, ফেনী ৮০০, চট্টগ্রাম ৯০০-১০০০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। রাতে নেওয়া হচ্ছে আরও বেশি ভাড়া।

সন্ধ্যা থেকে রাতের বেলায় মালবোঝাই ট্রাক, পিকআপ ও লরিতে করেও যাত্রীদের নেওয়া হচ্ছে। রয়েছে এসি/নন এসি গাড়িও। সপ্তাহখানেক ধরে এভাবে চলছে বলে জানা যায়।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে এই চিত্র দেখা গেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের বক্সের সামনেই অবৈধ স্ট্যান্ড বসিয়ে এসব মাইক্রোবাস আর প্রাইভেট গাড়িতে তোলা হচ্ছে গাদাগাদি করে যাত্রী।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, সকালে হাইয়েচ চললেও রাতের বেলায় যাত্রীদের ছোট আকারের পিকআপ ভ্যানে ও লরিতে করে যাত্রীদের নেওয়া হয়। এর সঙ্গে স্থানীয় লাইনম্যান ও ট্রাফিক পুলিশ জড়িত। প্রতি গাড়িতে পুলিশকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়।

মো. জসিম উদ্দিন নামের এক যাত্রী কুমিল্লা কান্দিরপাড় থেকে সাইনবোর্ড এসেছেন সকালে। তিনি বলেন, “সকালে আসছি ৩০০ টাকায় এখন চারশ সাড়ে চারশ ছাড়া যাচ্ছে না।”

মো. অহিদুর রহমান নামে একজন যাত্রী যাবেন নোয়াখালী। মা অসুস্থ থাকায় যমুনা সেতু থেকে মাকে একনজর দেখার জন্য নোয়াখালী যাচ্ছেন। যমুনা সেতু থেকে চার ভাঙায় আসছেন, ভ্যান, অটোরিকশায় আসছেন। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চালক বলেন, “করোনার সময়টা ভালো যাচ্ছে না। ঈদের সময় মানুষও তো বাড়ি যেতে চায়। আমরা সে জন্য একটু সহযোগিতা করছি।”

পুলিশ অবশ্য বলছে ভিন্ন কথা। সিদ্ধিরগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের সার্জন মো. শাহ আলম বলেন, “ট্রাফিকের এই ইউনিটে আমিসহ পাঁচজন কাজ করি। আমাদের নজরে আসলে আমরা মামলা দিচ্ছি। যেহেতু এটা গাড়ির স্ট্যান্ড নয়, তাই এ পর্যন্ত ৫০টির ওপরে মামলা হয়েছে। ট্রাফিক আইন ভাঙায় আজকেও ৮টি মামলা হয়েছে। সাধ্য অনুসারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। দাঁড়ানোর জন্য মামলা দিচ্ছি। ১০টার ওপরে রেকারিং হয়েছে।”