১৬ মে পর আরও সাত দিন লকডাউন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) গণমাধ্যমে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
ফরহাদ হোসেন বলেন, “করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আরও এক দফা চলমান বিধিনিষেধ বাড়ানো হবে। মানুষকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরানোর জন্য পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হবে।”
গত ২৪ ঘণ্টায় বুধবার (১২ মে) সকাল আটটা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আরও ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ২৭ জন ও নারী ১৩ জন। একই সময় নতুন করে আরও এক হাজার ১৪০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত সাত লাখ ৭৭ হাজার ৩৯৭ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ হাজার ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ১৮ হাজার ২৪৯ জন।
অ্যান্টিজেনভিত্তিক পরীক্ষাসহ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ২৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকারের দেওয়া চলমান কঠোর বিধিনিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বুধবার (৫ মে) এ প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর আগে সোমবার (৩ মে) চলমান বিধিনিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সে সময় জানিয়েছিলেন, ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ থাকবে এ সময়। ৬ মে থেকে নিজ নিজ জেলায় চলবে গণপরিবহন। জেলার ভেতর সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলবে। দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ চলবে না। বন্ধ থাকবে রেল যোগাযোগ।
শপিং মল ও দোকানপাটের বিষয়ে তিনি বলেন, “ঈদ পর্যন্ত মার্কেট ও শপিং মল খোলা থাকবে।”
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত আকারে বিধিনিষেধ দিয়েছিল সরকার। তবে তা ফলপ্রসূ না হওয়ায় পরে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয় সেই বিধিনিষেধ। এ বিধিনিষেধ কার্যকরে ১৩ দফা নির্দেশনা দেয় সরকার।