• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২১, ০৪:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৫, ২০২১, ০৪:২৯ পিএম

ঈদে যেভাবে কাটালেন, যা খেলেন কারাবন্দি হেফাজত নেতারা

ঈদে যেভাবে কাটালেন, যা খেলেন কারাবন্দি হেফাজত নেতারা

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ঈদ করেছেন মামুনুল হক, রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৫০ জন হেফাজত নেতা।

কারা অভ্যন্তরে আয়োজন করা হয় ঈদের বিশেষ নামাজ। কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিভিন্ন বন্দিরা সেখানে এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারেরা জানান, ঈদের দিন শুক্রবার (১৫ মে) কারাগারের ভেতরে বন্দিদের জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে ২২টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ খাবারের মধ্যে রয়েছে সকালে পায়েশ-মুড়ি; দুপুরে পোলাও-মাংস, ডিম, মিষ্টি, ঠান্ডা পানীয় ও পান-সুপারি এবং রাতে সাদা ভাত, রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘণ্ট ও মাছ ভাজা।

এদিকে করোনা সংক্রমণ এড়াতে এবারের ঈদে বন্দিদের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং বাইরে থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে বন্দিরা টেলিফোনে তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছে।

জ্যেষ্ঠ জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন জানান, হেফাজত নেতা মামুনুল হকসহ হেফাজতে ইসলামের ৪২ নেতা, সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনসহ প্রায় ২ হাজার ৮০০ বন্দি রয়েছেন এ কারাগারে। ৫০০-এর মতো যাবজ্জীবন এবং এক হাজারের মতো ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এর অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করা গিয়াস উদ্দিন জানান, কারাগারে এ অংশে ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা ছিল। জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি সাবেক উইং কমান্ডার শাহাবুদ্দিন, ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল দিদার হোসেন ও ডিআইজি প্রিজনস গোপাল বণিকসহ দেড় হাজারের মতো বন্দি রয়েছেন এ অংশে। তাদের মধ্যে ৬৮ জন ফাঁসির আসামি এবং ৯০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২-এর জেল সুপার আব্দুল জলিল জানান, কারাগারের এ অংশে ঈদের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। খাবারে একটু ভিন্নতা আছে এখানে। সকালে পায়েশ-মুড়ি; দুপুরে পোলাও-মাংস, শীতল পানীয়, মিষ্টি, পান-সুপারি, সালাদ এবং রাতে ছিল সাদা ভাত, মাছ, গিলা-কলিজা দিয়ে রান্না করা মুরগির লটপটি।

কারাগারের এ অংশে ‘শিশুবক্তা’ খ্যাত রফিকুল ইসলাম মাদানী, পুলিশের সাবেক উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) খান সাঈদ হাসান, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার আসামি লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারিক সাঈদ, হল-মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদসহ আড়াই হাজারের মতো বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৩৪ জন ফাঁসির আসামি, ৫৩৭ জন সশ্রম ও ৫২ জন বিনাশ্রম সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সুপার হালিমা খাতুন জানান, এখানে চিকিৎসক সাবরিনা চৌধুরী, বিএনপি নেত্রী নিপুন রায় চৌধুরী ও যুব মহিলা লীগের সাবেক নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়াসহ সাত শতাধিক নারী বন্দি রয়েছেন। বন্দি ৬৩ জন শিশুও রয়েছে। এই শাখায় ২৭ জন ফাঁসির আসামি ও ৬৩ জন যাবজ্জীন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন। এখানেও বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।