• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২১, ০১:৫৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১১, ২০২১, ০১:৫৯ পিএম

কোভ্যাক্সের ১০ লাখ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কোভ্যাক্সের ১০ লাখ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক টিকা জোট কোভ্যাক্সের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ৮০০ ডোজ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১১ জুন) এক বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন ড. এ কে আবদুল মোমেন।

বার্তায় জানানো হয়, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১৬ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা চাওয়া হয়েছিল। তারা ১০ লাখ ৮০০ ডোজ দিতে রাজি হয়েছে।

আগাম টাকা নিয়েও চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট প্রতিশ্রুত টিকা সরবরাহ না করায় সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। বিশেষ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়ে বিপাকে পড়ে সরকার।

শেষ পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অব্যাহত চেষ্টার ফলে ১০ লাখ ৮০০ ডোজ টিকার সংস্থান হয়েছে। যদিও অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকার ঘাটতি ১৬ থেকে ২০ লাখ ডোজ।

দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত এ টিকা দেশে আনার বিষয়ে গত নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। অগ্রিম টাকাও পরিশোধ করে বাংলাদেশ।

চুক্তি অনুসারে ৩ কোটি ডোজের প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এসেছে। নরেন্দ্র মোদি সরকার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সেরাম। শেষ পর্যন্ত টিকা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় দেশের টিকাদান কর্মসূচি।

কেনা টিকার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। চুক্তিতে দায়মুক্তি দিয়ে রাখায় সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুযোগ নেই।

বিকল্প উৎস না রাখায় সমালোচনার মুখে সরকার টিকার জন্য দ্বারস্থ হয় যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার। চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক, রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি আর যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসন।