• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২১, ০৭:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৪, ২০২১, ০৭:০২ পিএম

শনিবার থেকে ফের টিকা কার্যক্রম শুরু

শনিবার থেকে ফের টিকা কার্যক্রম শুরু

চীন থেকে আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা আসার পর ফের টিকা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তা আগামী শনিবার (১৯ জুন) থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (১৪ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের মা প্রয়াত ফৌজিয়া মালেকের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা আবার বাড়ছে। এখন থেকেই সবাইকে আবার সচেতন হতে হবে। হাসপাতালে শয্যা কম। করোনা বাড়লে বেশি বাড়লে সেবাও ব্যাহত হবে। তাই প্রতিরোধের ওপর জোর দিতে হবে, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”

রোববার সন্ধ্যায় উপহার হিসেবে চীন থেকে সিনোফার্মের আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছায়। এর আগে প্রথম দফায় ১২ মে দেশে ৫ লাখ ডোজ টিকা পাঠায় চীন। আর ৩১ মে কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা পায় বাংলাদেশ।

চীন থেকে প্রথম দফায় টিকা পাওয়ার পর ঢাকার সরকারি চারটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান শুরু হয়। আরও টিকা হাতে আসায় টিকাদানের পরিসর আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশ প্রথমে করোনার অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত টিকা ব্যবহারের পক্ষে ছিল। এ জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার চুক্তিও করে। প্রতি মাসে আসার কথা ছিল ৫০ লাখ করে। কিন্তু দুই মেয়াদে ৭০ লাখ টিকা পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় আর কোনো টিকা পাঠাতে পারেনি। কেনা টিকার বাইরে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে ভারত।

ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে ওঠা জোট কোভ্যাক্স থেকেও আসার কথা ছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ টিকা। পরে জানানো হয় আরও বেশি আসবে। কিন্তু সেখান থেকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

টিকা স্বল্পতায় বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিই বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে। এমন অবস্থায় টিকার বিকল্প উৎস হিসেবে চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে চীন থেকে ৪ থেকে ৫ কোটি টিকা কেনার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি দুটি দেশের টিকা দেশে উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।