
ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান চারদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ঘটনায় রংপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
তার সন্ধান চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সোমবার (১৪ জুন) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাউথ এশিয়ার ভেরিফাইড টুইটার থেকে এ বিবৃতি দেয়া হয়।
এর আগে আদনানের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় রাজধানীর দারুসসালাম এবং মিরপুর থানায় গেলে কোন থানাই জিডি বা মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ করছে তার পরিবার। তিনি রংপুর থেকে ঢাকায় আসছিলেন।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বলছে, তিনি ঠিক কোন জায়গা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেই মামলা নেওয়া হয়নি।
মুহাম্মদ আদনানের স্ত্রী সাবেকুন নাহার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ত্ব-হা বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। রাত ২টা ৩৭ মিনিটে তার সঙ্গে শেষ কথা হয় আমার। তিনি তখন বলেন, ‘ঢাকার কাছাকাছি চলে এসেছি’। এরপর রাত ৩টা থেকে ফোন বন্ধ পাই। এখনও নম্বরটি বন্ধ পাচ্ছি।”
নিখোঁজ হওয়ার সময় তার সঙ্গে গাড়িচালকসহ আরও তিনজন সহকর্মী ছিলেন। সেই তিনজন সহকর্মী এবং গাড়িটিরও কোনো খোঁজ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে আদনানের পরিবার।
পুলিশ জিডি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে অভিযোগ এনে সাবেকুন নাহার বলেন, “কোথায় মামলা করব, কার কাছে অভিযোগ করব? মামলা করব কী, কেউ তো জিডিই নিতে রাজি হচ্ছে না। দারুসসালাম থানা কিংবা মিরপুর থানা কেউই মামলা নেয়নি। থানায় ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। কোনো থানাই দায়িত্ব নিচ্ছে না, এক থানা আরেক থানাকে দেখিয়ে দিচ্ছে। তবে রোববার সকালে রংপুর সদর থানায় একটি জিডি হয়েছে ত্ব-হার মায়ের পক্ষ থেকে।”
অভিযোগের বিষয়ে দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, “তিনি কোথা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন, সেই লোকেশনটা তো আমরা নিশ্চিত না। তিনি গাবতলী থেকে নিখোঁজ হইছেন, সেটা তো আমরা জানি না।”
সেক্ষেত্রে যেখান থেকে তিনি রওনা হয়েছেন, সেই রংপুর অথবা তার ঢাকায় যেখানে বাসা, সেখানে জিডি হতে পারে বা মামলা হতে পারে বলে জানান ওসি তোফায়েল আহমেদ।