• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১, ১০:২৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৪, ২০২১, ১০:২৯ এএম

তেলের বদলে ৫০ কেজি গাঁজা, সিলিন্ডারে ইয়াবা

তেলের বদলে ৫০ কেজি গাঁজা, সিলিন্ডারে ইয়াবা

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী চলছে কড়াকড়ি। বন্ধ লঞ্চ, ট্রেন ও আন্তঃজেলা গণপরিবহনও। অন্যান্য কার্যক্রমেও আছে বিধিনিষেধ। কিন্তু এ অবস্থায়ও থেমে নেই মাদক পরিবহন। বিভিন্ন পন্থায় মাদক আনা-নেয়া চলছে প্রতিনিয়ত। জরুরি পণ্য পরিবহনের আড়ালে কয়েক ধাপে খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে তা পৌঁছে যাচ্ছে ক্রেতা অর্থাৎ মাদকসেবীদের হাতে। 

তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিনিয়ত কৌশল বদলালেও জব্দ হচ্ছে বড় বড় চালান। এবার ট্যাংক লরিতে তেলের বদলে মিলেছে গাঁজা। প্রাইভেট কারের সিলিন্ডারে নেই গ্যাসের ছিটেফোঁটা, আছে হাজার হাজার ইয়াবা।  

গাঁজা-ইয়াবা চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানী ও ঢাকার বাইরের বেশ কজন বড় মাদক ব্যবসায়ীর নাম পাওয়া গেছে। তাদের ধরতেও চলছে অভিযান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মাদকের চালান আসছে, ঢাকার প্রবেশপথে সতর্ক গোয়েন্দারা। তল্লাশি চলতে থাকে একের পর এক সন্দেহভাজন গাড়িতে। এক পর্যায়ে তেল বহনের ট্যাংক লরিতেও চলে তল্লাশি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজা-খুঁজিতেও মেলে না কিছুই। এক পর্যায়ে ট্যাঙ্কিতে আঘাত করলে ভেসে আসে ফাঁপা আওয়াজ। সন্দেহ বাড়তে থাকে গোয়েন্দাদের। খোলা হয় ট্যাঙ্কির ঢাকনা। নেই একফোঁটা তেল। ভেতরে দেখা যায় সারি সারি বস্তা। উদ্ধার হয় পঞ্চাশ কেজি গাঁজা। গ্রেফতার হন তিন জন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (গুলশান) উপ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, বেশি টাকার লোভে ট্রাইভার, গাড়ির মালিক এবং মাদক ব্যবসায়ীরা সুদূর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন যায়গায় এই মাদক পরিবহন করে নিয়ে যেত। তারা জানিয়েছে, এর আগে শত শত কেজি গাজা তারা পাচার করেছে।  

ইয়াবার চোরাচালান ধরতে গোয়েন্দা পুলিশের আরেকটি দলও অভিযানে। নিবন্ধন না থাকায় এই প্রাইভেটকারটির আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি ভেতরে চলতে থাকে তল্লাশি। এক পর্যায়ে গাড়ির পেছনে সিলিন্ডার খুলতেই মেলে ৫০ হাজার ইয়াবা বড়ি। গ্রেফতার দুজন জানিয়েছে, গাড়িটি তেলে চললেও কেবল মাদক পরিবহণের জন্যই সিলিন্ডার লাগানো হয়েছে।

মশিউর রহমান বলেন, যে গ্যাস সিলিন্ডার আছে তার ভেতর ২০ হাজার পিছ ইয়াবা বিশেষ কায়দায় ঢুকিয়ে টেকনাফের উখিয়া থেকে গাজীপুরে নিয়ে যাচ্ছিলো। কাদের কাছ থেকে নিয়ে এসেছিল, কাদের কাছে  বিক্রি করতো গ্রেফতাররকৃতরা সেই তথ্য আমাদের দিয়েছে। 

ইয়াবা ও গাঁজা চোরাচালানে জড়িত পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা বলছেন, বেশ কজন বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীর নাম পাওয়া গেছে। তাদের ধরতেও অভিযান চলছে। 

জাগরণ/এমআর