• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২১, ০৫:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৬, ২০২১, ১১:৫৮ পিএম

রাজধানীর মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট

রাজধানীর মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে রাজধানীসহ সারাদেশে চলছে ‘কঠোর লকডাউন’। তবে লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে জরুরি সেবা ও পণ্যবাহী যানবাহনের পাশাপাশি সড়কে মানুষের চলাচল বেড়েছে।

সাধারণ মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও বিভিন্ন কাজের জন্য ঘর থেকে বের হচ্ছেন। এদিকে যারাই সরকারের ‘বিধিনিষেধ’ উপেক্ষা করে অহেতুক ঘর থেকে বের হচ্ছেন, তাদের পড়তে হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্ট গুলোতে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছেন তারা। বের হওয়ার যুক্তিসংগত কারণ না হলেও তাদের আইনের আওতায় আনছেন কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ও প্রশাসন।  

রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট। সড়কের যানবাহন চলাচলের সুবিধায় ব্যারিকেড দিয়ে জরুরি সেবা ও পণ্যবাহী যানবাহন ও সাধারণ যানবাহনের জন্য আলাদা লেন করা হয়েছে। এসব লেন তৈরিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ ও ক্রাইম বিভাগের সদস্যরা কাজ করছেন। চেকপোস্টে ঘর থেকে বের হওয়া সব মানুষকেই  তল্লাশির আওতায় আনা হচ্ছে। তবে জরুরি সেবা ও পণ্যবাহী যানবাহনগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত, বনানী, মহাখালী, মগবাজার, মালিবাগ এলাকায় অনেকেই সড়কের পাশে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তারা মূলত মোবাইল ভিত্তিক পরিবহন সেবা দিয়ে থাকেন। লকডাউনে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বন্ধ থাকলেও কিছু মোটরসাইকেল চালক বের হয়েছে যাত্রী পরিবহনের জন্য।  

মোটরসাইকেল এক চালক বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা গাড়ি চালাতে পারছি না। আমাদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। এদিকে ‘কঠোর লকডাউন’ আরো সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। এখন বের না হলে না খেয়ে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, চেকপোস্টগুলোতে আটকালে জরিমানা করে পুলিশ। এমনিতেই ইনকাম নেই, তার ওপর জরিমানা গুনতে হলে আমাদের আর কিছু করার থাকবে না।  

এদিকে সড়কে প্যাডেলচালিত রিকশার চলাচল অনেক বেশি দেখা গেছে। তবে অনেকেই যাত্রী অপেক্ষায় বসে সময় কাটাচ্ছেন সড়কের বিভিন্ন স্থানে।  

যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা রিকশা চালকরা বলেন, ‘সকাল থেকে গাড়ি নিয়া বাহির হইছি,  তিনটা ক্ষেপ মারছি। এখন বইসা আছি। যাত্রী কম, অনেকক্ষণ দাঁড়াইয়া থাকলে যাত্রী পাই। ’