• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২১, ১১:২৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৯, ২০২১, ১১:২৯ এএম

রূপগঞ্জে আগুন

আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভেনি, নিহত ৩

আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভেনি, নিহত ৩
সংগৃহীত ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাশেম ফুড অ্যান্ড ভেবারেজ কারখানার আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিটের ১৪ ঘণ্টাব্যাপী প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুরোপুরি নেভেনি।

শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। তবে প্রিয়জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করে কারখানার বাইরে অবস্থান করছেন অনেক শ্রমিকের স্বজন। বিষয়টি সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস কোন তথ্য জানাতে পারেনি।

 

কারখানায় কেমিকেল ও দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন পুরোপুরি নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে আলাদা আলাদা শাখায় বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেল ও দাহ্যবস্তু ছিলো। তাই নিচ থেকে আগুন দ্রুত উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক সালেহ উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি জানান,  কেমিকেল ও দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন নেভাতে অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। আগুন একাধিক বার নিয়ন্ত্রণে এলেও তা মুহূর্তের মধ্যে আবার জ্বলে উঠেছে। তবে আগুন ৯০ শতাংশ নিভে গেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুড বেভারেজ কোম্পানির কার্টন ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৭ টি ইউনিটের চেষ্টায় শুক্রবার সকাল আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুসের কারখানার আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ কর্মীদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠেছে গেট এলাকা।

শ্রমিকদের দাবি, আগুন লাগার পরই আটকে দেয়া হয় কারখানার কলাপসিবল গেট। এমন কি একটি ফ্লোরে আগুন জ্বলতে থাকলেও কাজে বাধ্য করা হয় অন্য ফ্লোরের শ্রমিকদের। এ অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হন নি ঘটনাস্থলে উপস্থিত কারখানা কর্তৃপক্ষের কেউ। আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কতজন নিখোঁজ, সেটিও জানাতে পারেননি তারা।

নাজমা বেগমর ছোট ছেলে রিপন খান ইয়াসিন কাজ করতেন সেজান জুসের কারখানার চার তলায়। পড়াশোনার ফাঁকে পরিবারের জন্য কিছু বাড়তি উপার্জন করতে কারখানায় কাজ নেন চার মাস আগে। গতকাল আগুন লাগার পর থেকে খোঁজ মিলছে না রিপনের। তাই মা নাজমা বেগমের আকুতি থামছে না।

আগুনের ঘটনার পর খোঁজ মিলছে না কল্পা রানী বর্মনের। তার ভাই কল্পার ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। যাকে পাচ্ছেন তাকেই উন্মুখ হয়ে জিজ্ঞেস করছেন, ছবির এই মেয়েটিকে কেউ দেখেছেন কিনা?

নিখোঁজ মোহাম্মদ আলীর ছবি নিয়ে ঘটনাস্থলে আছেন তার ছোট ভাই টিপু সুলতান। আগুন লাগার পরে স্বজনদের মোবাইলে ফোন করে মাফ চান মোহাম্মদ আলী। মাত্র দুই মাস আগে বাবা হয়েছেন তিনি। ভাইয়ের খোঁজ না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন টিপু সুলতান।

শ্রমিকরা বলছেন আগুন লাগার ঘটনা জানতে পেরে কাজ বন্ধ করে দেন তারা। তারপর ও কাজ করতে বাধ্য করা হয় তাদের। তালা দেয়া হয় গেইটে।

এ অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে প্রথমে কথা বলতে রাজী হন সেজান জুসের কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া এ ব্যাক্তি। পরে অবশ্য ফ্যাক্টরি এডমিনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন । নিজেকে দাবি করেন বহিরাগত হিসেবে।

শ্রমিকরা জানান, রূপগঞ্জের র্কর্ণগোপ এলাকার সেজান জুসের কারখানায় কাজ করতেন প্রায় প্রায় সাত হাজার কর্মচারী। ছয় তলা ভবনে র এ কারখানাটির একটি ফ্লোরে আগুনের সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ