• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২১, ০৮:১৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০২১, ০৮:১৯ এএম

রূপগঞ্জ অগ্নিকাণ্ড

কারখানার ৫১ শ্রমিক নিখোঁজ!

কারখানার ৫১ শ্রমিক নিখোঁজ!

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো ৫১ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করছে পরিবাগুলো। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকাল পর্যন্ত কারখানার সামনে বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের গেটে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকে নিখোঁজ ব্যক্তির ছবি, ভোটার আইডি কার্ড, ফ্যাক্টরিতে চাকরি করার প্রমাণপত্র সঙ্গে নিয়েও এসেছেন।

তবে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলছেন, যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারাই নিখোঁজ বলে হয়তো তাদের পরিবার বলছে। ডিএনএ টেস্টের পর মরদেহ শনাক্ত হলে বোঝা যাবে আসলে কেউ নিখোঁজ আছেন কিনা। আত্মীয়দের দেওয়া তথ্যানুযায়ী নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন-

ভোলার চর ফ্যাশন উপজেলার ইউসুফ, একই উপজেলার গোলামের ছেলে মো. মহিউদ্দিন, ফখরুল ইসলামের ছেলে শামীম, ফজলুর ছেলে হাসনাইন, মান্নান মাতাবরের ছেলে নোমান মিয়া, ভোলা সদরের ইসমাইলের মেয়ে হাফেজা, তাজুদ্দিনের ছেলে রাকিব।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কাইয়ুমের মেয়ে খাদিজা ও আকিমা, এইক উপজেলার মো. সেলিমের মেয়ে সেলিনা, মাহাতাব উদ্দিনের স্ত্রী শাহানা, নিজামউদ্দিনের মেয়ে শাহানা, মালেকের মেয়ে মাহমুদা, গোলাকাইন্দাইল খালপাড়ের রাজিবের স্ত্রী আমেনা, সদরের আব্দুর রশিদের মেয়ে মিনা খাতুন, করিমগঞ্জ উপজেলার তাহের উদ্দিনের ছেলে নাঈম, খোকনের স্ত্রী জাহানারা, নিতাই উপজেলার স্বপনের মেয়ে শাহিদা, সুজনের মেয়ে রিনা আক্তার, কটিয়াদি উপজেলার চান্দু মিয়ার মেয়ে রাবেয়া। মৌলভীবাজারের পরবা বর্মনের ছেলে কমপা বর্মন। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আব্দুল মান্নানের মেয়ে  তুলি, নবীগঞ্জ উপজেলার সেলিমের স্ত্রী উর্মিতা বেগম।

নেত্রকোনার জাকির হোসেনের মেয়ে শান্তা মনি, কবির হোসেনের মেয়ে হিমা, খালিয়াঝুড়ি উপজেলার আজমত আলীর মেয়ে তাকিয়া আক্তার, জামালপুরের মো. শওকতের ছেলে জিহাদ রানা।

নারায়ণগঞ্জের হাকিম আলীর মেয়ে ফিরোজা বেগম, রূপগঞ্জ উপজেলার ফিরোজা, তার মেয়ে সুমাইয়া, গোলাকান্দাইলের আফজালের স্ত্রী নাজমা বেগম। গাজীপুরের সেলিম মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (ইয়াসিন)। নরসিংদীর শিবপুরের জসিম উদ্দীনের স্ত্রী রিমা। চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার হাছান উল্লাহর ছেলে পারভেজ।

রংপুরের মানসের ছেলে স্বপন, গাইবান্ধার প্রফেসর কলনির হাসানুজ্জামানের মেয়ে নুসরাত জাহান টুকটুকি, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লালচু মিয়ার মেয়ে লাবণ্য আক্তার। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার গোকুলের ছেলে মাহাবুব।দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ফয়জুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সজীব। পাবনার হাঠখালির শাহাদত খানের ছেলে মোহাম্মদ আলী।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার শাকিল, একই উপজেলার এনায়েতের ছেলে বাদশা, আবল কাশেমের ছেলে রাসেদ, আবুল বাসারের ছেলে জিহাদ।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকার হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার নিচ তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। এমনিতে কারখানায় ৬-৭ হাজার শ্রমিক থাকলেও করোনার কারণে ঘটনার দিন কারখানার ৬ তলা ভবনটিতে প্রায় ৪০০ কর্মী কাজ করছিলেন।

খবর পেয়ে একে একে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ভবনের ভেতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে। শুক্রবার দুপুরে কারখানার ভেতর থেকে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়। অগ্নিকাণ্ডে সব মিলে ৫২ জন মারা গেছে বলে নিশ্চিত তথ্য জানা গেছে।

জাগরণ/এসকে