• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২১, ০২:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১১, ২০২১, ০২:০০ পিএম

১৬ বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার

১৬ বছরে  ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার

সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করার কথা। কিন্তু অর্থপাচারের মামলাগুলো ঝুলে আছে বছরের পর বছর। যে কারণে পাচার হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফেরত আনা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে অর্থপাচার রোধ করার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা।

২০১২ সালে সোনালী ব্যাংকের হোটেল রুপসী বাংলা শাখা থেকে প্রায় ৩৭০০ কোটি টাকা লোপাট করে হলমার্ক গ্রুপ। প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থের অপব্যবহার, অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে রমনা থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর ১২টি মামলায় বিচার শুরু হয়।

৯ বছরে শুধু ব্যাংক কর্মকর্তাদের একটি মামলার বিচার শেষ হয়েছে। বাকি মামলাগুলোতে শেষ হয়নি সাক্ষ্যগ্রহণ। একই অবস্থা আলোচিত ডেসটিনির মামলাতেও।

দুদকের আইনজীবী বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে দুদক। বাকি দায়িত্ব আদালতের।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী বলছেন, উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ, তদন্ত কর্মকর্তাদের দক্ষতার অভাবেও বিচারিক প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ১৬ বছরে দেশ থেকে অন্তত ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাচার রোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি।

সুপ্রিম কোর্ট ও দুদকের তথ্য অনুযায়ী, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ৪০৮ মামলার ১৮৭ টিই করেছে দুদক। এর মধ্যে ৮৫ মামলার বিচার চলছে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে। আর হাইকোর্টের আদেশে ৫২ মামলার বিচার স্থগিত রয়েছে।

জাগরণ/এমএ