• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১, ১০:৫০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৫, ২০২১, ১০:৫০ এএম

মগবাজারে বিস্ফোরণ

বেঙ্গল মিটের শোরুমে জমেছিল গ্যাস

বেঙ্গল মিটের শোরুমে জমেছিল গ্যাস
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকার মগবাজারে ‘রাখি নীড়’ ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও তিতাস গ্যাস তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

প্রতিবেদনে ভবনে জমে থাকা গ্যাস থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সেই গ্যাসের উৎস কী, সে বিষয়ে কোনো সংস্থাই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।

বুধবার (১৪ জুলাই) তিতাস গ্যাসের ভিজিল্যান্স ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির তৈরি প্রতিবেদনটি পেট্রোবাংলার কাছে জমা দিয়েছে। এতে কমিটির প্রত্যেক সদস্য স্বাক্ষর করেছেন।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আলামত, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা, উদ্ধারকাজে অংশ নেয়া কর্মীদের বর্ণনা, ভবন মালিক ও দোকান মালিকসহ অনেকের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বিস্ফোরণের স্থান হিসেবে বেঙ্গল মিটের আউটলেটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিস্ফোরণের সম্ভাব্য তিন কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। 

বেঙ্গল মিটের শো-রুমে প্রচুর গ্যাস জমা ছিল। জমা গ্যাসের মধ্যে আগুনের স্পার্ক (অগ্নি স্ফুলিঙ্গ) সৃষ্টি হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে আগুনের স্পার্ক সৃষ্টি হওয়ার পেছনে বৈদ্যুতিক সুইচ চালু অথবা বন্ধ, মশা মারার ব্যাট অথবা মোবাইলের চার্জারের ভূমিকা থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ওই ভবনে এবং আউটলেটে গ্যাস জমে থাকার কথা উল্লেখ করলেও সেখানে গ্যাসের কোনও উৎস পায়নি ফায়ার সার্ভিস।

বিস্ফোরক পরিদফতরের তদন্ত প্রতিবেদন এখনও জমা পড়েনি। তবে তারাও ঘটনাস্থলে হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি পাওয়ার কথা এরই জানিয়েছে।

গত ২৭ জুন সন্ধ্যায় মগবাজার ওয়্যারলেস গেইটে তিনতলা ভবন রাখী নীড়ের নিচতলা ও দোতলা প্রচণ্ড বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। মগবাজার-মৌচাক সড়কের পাশে ৭৯ নম্বর আউটার সার্কুলার রোডে ওই বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে তাতে আশেপাশের এক ডজনেরও বেশি ভবনের প্রায় সব কাচ ভেঙে তীব্র বেগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে উপর থেকে।

জাগরণ/এমএ