• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১, ১২:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৫, ২০২১, ১২:৫৪ পিএম

শিমুলিয়ায় ঘরমুখী মানুষের চাপ, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

শিমুলিয়ায় ঘরমুখী মানুষের চাপ, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

ঈদ সামনে রেখে কঠোর লকডাউন শিথিলের প্রথম দিনে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। সেই সঙ্গে যানবাহনের চাপও রয়েছে। ঘাটে এ মুহূর্তে পারাপারের অপেক্ষায় ৫ শতাধিক যানবাহন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকালে ঘাটে যাত্রীর চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে চাপ কমছে। লঞ্চ চলাচল করায় ফেরিতে এ মুহূর্তে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। তবে লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও অধিক যাত্রী নিয়েই সেগুলো চলাচল করছে।

সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে আসছে। এতে বাড়তি যানবাহনের চাপ পড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। গণপরিবহন চালু হওয়ায় ঘাটে আসতে সড়কপথে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমেছে।

বিআইডাব্লিউটিএর শিমুলিয়া নদী বন্দরের কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে নৌরুটে ৭৭টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে মোটামুটি যাত্রী চাপ রয়েছে। সকালবেলা যাত্রী চাপ বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীর চাপ কমছে। নিয়ম অনুযায়ী ৬০ ভাগ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চালানোর জন্য নির্দেশনা রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১০টি ফেরি চলছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে ৫ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। লঞ্চ চালু থাকায় ফেরিতে যাত্রীর চাপ কমেছে। তবে গণপরিবহন ও প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসায় পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, ঘাটে এ মুহূর্তে ২৬০টির মতো পণ্যবাহী, ১৫০টির মতো ছোট গাড়ি এবং ২০ থেকে ২৫টি বাসসহ সব মিলিয়ে ৫ শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। লঞ্চ চলায় ফেরিতে যাত্রীর চাপ নেই।

মাওয়া নৌ-পুলিশের ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় প্রচুর যাত্রী ও যানবাহন ঘাটে আসছে। নৌযানগুলোতে নিয়ম অনুযায়ী যাত্রী পারাপারের জন্য নৌ-পুলিশ তদারক করছে। যেসব লঞ্চে অধিক যাত্রী ধারণ করা হচ্ছে ও নিয়ম অমান্য করছে, তাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জাগরণ/এসকে