• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২১, ১২:২৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৭, ২০২১, ১২:২৪ এএম

সিলেট-৩ উপনির্বাচন স্থগিত

সিলেট-৩ উপনির্বাচন স্থগিত

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী বুধবার (২৮ জুলাই) অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদের সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হয়। এর আগে একই দিন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রিট করা হয়।

আদালতে রিটের আবেদন উপস্থাপন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার। স্থানীয় ৭ জন বাসিন্দা এবং ৬ জন আইনজীবী এ রিট আবেদন করেন।

এর আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে রোববার (২৫ জুলাই) আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের ৫ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ নোটিশ দিয়েছিলেন।

নোটিসদাতা ৫ আইনজীবী হলেন— মোহা. মুজাহিদুল ইসলাম, আল-রেজা মোহাম্মদ আমির,  জোবায়দুর রহমান, জহিরুল ইসলাম এবং মুস্তাফিজুর রহমান।

নোটিসে বলা হয়, ‘‘গত ১১ মার্চ সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে সিলেট-৩ আসনটি শূন্য হয়। ১৫ মার্চ নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই আসন শূন্য ঘোষণা করে। ২৯ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী ৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। কিন্তু দৈবদুর্বিপাকের কারণে তা সম্ভব না হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী আরও ৯০ দিন সময় বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ পায় ইসি। এরপর গত ২ জুন ওই উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ তফসিলে ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়। পরে ইসি ১৫ জুন তারিখ পরিবর্তন করে ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে ২৮ জুলাই।’

নোটিসে আরও বলা হয়েছে, দৈবদুর্বিপাকের কারণে সংবিধান অনুযায়ী সিলেটের এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তাই ২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় উপনির্বাচন স্থগিত করা যাবে না—এ বক্তব্য আইনের সঠিক ব্যাখ্যা নয়। ইসির উচিৎ চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে ‘লকডাউনে’র সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা এবং ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্য যে কোনও সময়ে ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা। তিন লাখ ৫২ হাজার ভোটারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠান সরকারের বর্তমান ‘লকডাউন’ নীতিরও বিরোধী।

করোনা আক্রান্ত হয়ে এ বছরের ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। এরপর ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর ৯০ দিন পেছালেও ২৮ জুলাই ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল।

করোনা সংক্রমণের চরম ঝুঁকি ও লকডাউনের মধ্যেই শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় নেমেছে প্রার্থীরা।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী।

নির্বাচনে রিটানিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন জেলা প্রশাসক। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সব প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নিয়ে সিলেট-৩ আসন। মোট ভোটার সাড়ে ৩ লাখ। 

জাগরণ/এসএসকে/এমএ

আরও পড়ুন