• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২১, ০১:০২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৯, ২০২১, ০১:০২ এএম

‘সাইমন ড্রিং বাঙালির স্মৃটিপটে অমর হয়ে থাকবেন’

‘সাইমন ড্রিং বাঙালির স্মৃটিপটে অমর হয়ে থাকবেন’
সাইমন ড্রিং ● ফাইল ছবি

‘বাংলাদেশের মানুষকে চিরদিনের জন্য ঋণী করে গেছেন সাংবাদিক সাইমন ড্রিং। তিনি বাংলাদেশের জন্ম-ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

বুধবার (২৮ জুলাই) সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১ আয়োজিত ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা একথা বলেন।

তারা সাইমন ড্রিংয়ের স্মৃতি রক্ষায় তার নামে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটি কর্নার এবং ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা স্থাপনার নামকরণের আহ্বান জানান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে সাইমন ড্রিংয়ে জীবন ও কর্ম পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করারও কথা বলেন।

ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি নূরুল আলমের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় স্মৃতিচারণ করেন মহাসচিব হারুন হাবীব, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী, শিক্ষাবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি লেখক-গবেষক মফিদুল হক, ফোরামের অন্যতম সহসভাপতি ম. হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি ও সাইমন ড্রিংয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আক্কু চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মনসুর আহমদ, ডা. আবদুস সালাম এবং ড. খন্দকার শওকত হোসেন। 

বক্তারা বলেন, সাইমন মনেপ্রাণে বাংলাদেশকে ভালোবাসতেন। একাত্তর এবং পরবর্তী সময়ের ভূমিকায় যার স্বাক্ষর তিনি রেখে গেছেন। তিনি দুঃখের সঙ্গে বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সাইমন ড্রিংকে দেশ থেকে বহিস্কার করেছিল। যা ছিল একটি জাতীয় লজ্জা।

এই কালজয়ী ব্রিটিশ সাংবাদিক একাত্তরে দুঃসাহসী ভূমিকার জন্যে বাঙালির স্মৃটিপটে অমর হয়ে থাকবেন।

স্মরণসভা সঞ্চালনা করেন ফোরামের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মাহজাবিন খালেদ।

বাংলাদেশের বন্ধু সাংবাদিক সাইমন ড্রিং ১৬ জুলাই (শুক্রবার) রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে অস্ত্রপচারের সময় মারা যান।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ