
আজ রোববার (১ আগস্ট) থেকে খুলেছে পোশাক কারখানা সহ রফতানিমুখী সব ধরনের শিল্পকারখানা। সকাল থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন বেশিরভাগ শ্রমিক। তবে যারা কর্মস্থল থেকে বহু দূরে লকডাউনের কারণে আটকা পড়েছিলেন সেসব শ্রমিকদের ফেরাতে চালু হয়েছে বাস।
চলাচল করবে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড় রয়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও ভোলার ইলিশা ঘাটে।
সরকার অনুমতি দিলেও প্রস্তুতি না থাকায়, বরিশাল থেকে ছাড়েনি, রাজধানীমুখী কোনও লঞ্চ। সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চললেও, সড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ।
শ্রমিকদের অনেকেই বলেছেন, তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটেছেন। কখনও পণ্যবাহী গাড়ি, বালু উত্তোলনের ড্রেজার, মোটরসাইকেল, মালবাহী কনটেইনার, রিকশা, ইজি বাইক ও অটোরিকশায় ভেঙে ভেঙে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের কর্মস্থল এলাকায় এসেছেন।
অনেকে বলেছেন, ৪০ টাকার বাসভাড়ার পথ ইজি বাইকে এসেছেন ৭০০ টাকায়।
ঢাকামুখী মানুষের ঢলে প্রভাব পড়েছে ফেরিঘাটে। ফেরিতে যাত্রীর জন্য গাড়ি ওঠার সুযোগ পায়নি। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে সাধারণত ছয়টি ফেরি চলাচল করলেও যাত্রীর চাপে ১০টি ফেরি চালানো হয়েছে।
বাংলাবাজার ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রী দিয়েই এসব ফেরি বোঝাই ছিল। উল্টো ছবি শিমুলিয়া ঘাটে। এই ঘাট থেকে ফেরিগুলো প্রায় খালিই গেছে।
জাগরণ/এমএ