• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১, ১২:৪৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৮, ২০২১, ১২:৪৯ এএম

বাঘ শাবক দুর্জয় ও অবন্তিকা সুস্থ আছে

বাঘ শাবক দুর্জয় ও অবন্তিকা সুস্থ আছে
টিভি থেকে নেয়া

ঢাকা চিড়িয়াখানায় দ্বিতীয়বারের মতো জন্ম নিয়েছে দুটি বাঘের বাচ্চা। ওদের বয়স এখন আড়াই মাস। এখন পর্যন্ত শাবক দুটি সুস্থ থাকলেও ছয় মাস পর্যন্ত ঝুঁকি রয়েছে।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলেছে, এরই মধ্যে বাবা বাঘটিকে খাঁচা থেকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। বিশেষভাবে যত্ন নেয়া হচ্ছে বাঘের বাচ্চাদের।

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)—এ চিড়িয়াখানায় নিরিবিলি পরিবেশ তৈরি হওয়ায় সব প্রাণীর প্রজনন ক্ষমতা বেড়েছে। তার সুফল পাওয়া শুরু হয়েছে।

বাঘের বিচরণ ক্ষেত্র সুন্দরবনে যখন কমছে বাঘের সংখ্যা তখন সুখবর এসেছে, ঢাকার মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে। 

গেলো মে মাসের ২৫ তারিখে দু’টি বাঘের শাবকের জন্ম দেয় মা বেলি ও বাবা টগর। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আড়াই মাস লোক চক্ষুর আড়ালে রাখা হয়েছিল বাঘের শাবক দু’টিকে।

সোমবার (১৬ আগস্ট) চিড়িয়াখানায় বাঘের শাবক দু’টিকে তালিকাভুক্ত করে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম। 

শাবক দু’টির নাম রাখা হয় রাখা হয় দুর্জয় আর অবন্তিকা।

মন্ত্রী বলেন, এখন চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা ১১টি। 

মন্ত্রী রেজাউল করিম আরও জানান, ‘প্রাণীদের উন্মুক্ত রেখে কিভাবে চিড়িয়াখানা আধুনিকায়ন করা যায় সেই চিন্তা করা হচ্ছে।’

ডোরা কাটা দাগের এই শাবকের নিরাপত্তার জন্য মায়ের সাথে রাখা হয়েছে। আড়াই মাসেই শাবক দুটি এখনও সুস্থ আছে।  ছয় মাস পর্যন্ত ব্যাঘ্র শাবকের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে।

জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর আবদুল মতিন জানান, ‘রোগবালাই মুক্ত রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

তিনি জানান, করোনা মানুষের জন্য দুর্যোগ বয়ে আনলেও চিড়িয়াখানার প্রাণীদের জন্য আশীর্বাদ বলছেন কিউরেটর। বন্য প্রাণী বসবাসের উপযোগী পরিবেশ থাকায় বাঘ সহ সব প্রাণীর প্রজনন ক্ষমতা বেড়েছে।

২০১৬ সালে দু’টি শাবক জন্ম নিলেও তাদের বাঁচানো যায়নি। শাবকদের জন্য সহায়ক বন্য পরিবেশ তৈরি করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

জাগরণ/এমএ