• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১, ১২:২৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১, ১২:২৭ এএম

ভোর থেকে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের তিনদিনের ধর্মঘট

ভোর থেকে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের তিনদিনের ধর্মঘট
ফাইল ফটো

১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে পণ্যবাহী পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকদের পৃথক দুইটি সংগঠন বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার মালিক অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন। 

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার মালিক অ্যাসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, এই কর্মবিরতি মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় শুরু হয়ে এই কর্মবিরতি একটানা ৭২ ঘণ্টা চলবে। 

বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মকবুল আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কদমতলীতে আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। 

সেদিন সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম বলেন, ১৯ তারিখের মধ্যে ১৫ দফা না মানলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে সাড়া দেশে কর্মবিরতি শুরু হবে। দাবিগুলো সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও সমাধান হয়নি। দাবিগুলো বাস্তবায়ন হলে শ্রমিকদের আগামী ২০ বছর আর কোনও আন্দোলনে যেতে হবে না। 

দফা দাবিসমূহ—

● মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত ‘অগ্রিম আয়কর’-এর ওপর চাপিয়ে দেয়া বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং এরই মধ্যে আদায় করা বর্ধিত কর স্ব স্ব মালিককে ফেরত দিতে হবে। 

● যেসব চালক ভারী মোটরযান চালাচ্ছে তাদের সবাইকে সহজশর্তে এবং সরকারি ফি’র বিনিময়ে অবিলম্বে ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে পুনরায় হয়রানিমূলক ‘ফিল্ডটেস্ট ও পরীক্ষা পদ্ধতি’ বাতিল করতে হবে।

● পণ্যপরিবহন খাতের (ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, প্রাইমমুভার-ট্রেইলার প্রভৃতি) সরকার নিবন্ধিত শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর গঠনতন্ত্রসম্মত ‘কল্যাণ তহবিল’-এর চাঁদা সংগ্রহের ওপর কোনও অজুহাতে বিধিনিষেধ আরোপ করা চলবে না। 

● চট্টগ্রাম প্রাইমমুভার ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সমীপে পেশ করা প্রস্তাব বা সুপারিশগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। 

● সবশ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মতো রেশনিং সুবিধার আওতায় আনতে হবে। 

● চট্টগ্রামে অবস্থিত ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মনোনীত প্রতিনিধি এবং সব ড্রাইভার ও সহকারীকে চট্টগ্রাম বন্দরে হয়রানিমুক্ত প্রবেশের সুবিধার্থে বাৎসরিক নবায়নযোগ্য বায়োমেট্রিক স্মার্টকার্ড প্রদান করতে হবে। 

● গাড়ির কাগজপত্র চেকিং-এর জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করতে হবে। পণ্যবাহী গাড়ি যত্রতত্র দাঁড় করানো যাবে না। পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য সহ সব প্রকার হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। 

● প্রতি ৫০ কিলোমিটার পর পর পণ্যপরিবহন শ্রমিকদের জন্য দেশের সড়ক-মহাসড়কের নিরাপদ দূরত্বে (উভয় পাশে) বিশ্রামাগার ও ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-প্রাইমমুভার ট্রেইলার টার্মিনাল/স্ট্যান্ড নির্মাণ করতে হবে। 

● সড়ক দুর্ঘটনায় অথবা চোর-ডাকাতের হাতে অথবা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা অথবা তাদের হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী সড়ক পরিবহন শ্রমিকের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে এককালিন নগদ ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহত শ্রমিককে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ ও জীবিকা ভাতা প্রদান করতে হবে। 

● সড়ক পরিবহন সংক্রান্ত যাবতীয় সরকারি সংস্থা ও ফোরামে বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্যাংকলরি শ্রমিক ফেডারেশন-এর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ