• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২২, ১২:২৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৬, ২০২২, ১২:২৮ এএম

ফরিদপুরে আয়া-নার্স কর্তৃক সিজার, কপাল কেটে শিশুর ৯ সেলাই!

ফরিদপুরে আয়া-নার্স কর্তৃক সিজার, কপাল কেটে  শিশুর ৯ সেলাই!
ছবি- জাগরণ।

ফরিদপুরের একটি বে-সরকারি হাসপাতালে গাইনী ডাক্তার ছাড়াই আয়া আর নার্সের হাতে সিজার হওয়া এক শিশুর কপাল কেটেঁ গুরুত্বর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নয়টি সেলাই নিয়ে শিশুটি এখন গুরুত্বর অসুস্থ। এই ঘটনায় ক্লিনিকের মালিক জাকারিয়া মোল্লা পলাশ ও আয়া চায়না বেগম কে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে শহরের আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী রূপা বেগম রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার উজানচর ইউনিয়নের মৈজদ্দিন মন্ডল পাড়া গ্রামের শফিক খানের স্ত্রী।  
 
ভুক্তভোগীর ভাই আমির ফয়সাল জানান, শনিবার সকাল ৮টার প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের বিপরিতে আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে তার বোন কে ভর্তি করা হয়। গাইনী ডাক্তার আসার আগেই তার বোন কে আয়া ও নার্স মিলে সিজার করে। বাচ্চা বের করে আনার পর দেখা যায় তার কপালে ৯টি সেলাই ও বাচ্চাটি গুরুত্ব অসুস্থ। বিষয়টি তারা লুকানোর চেষ্টা করলে প্রশাসন কে জানায়। পুলিশ এসে হাসপাতালের মালিক ও আয়া কে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

গরিব ও অসহায় মানুষের চিকিৎসার নামে এধরণের হয়রানি এবং ক্ষতিগ্রস্থকারীদের শাস্তি চান শিশুটির ফুফা আসলাম খান। রোগীদের চিকিৎসার নামে এই বে-সরকারি হাসপাতালটি ডাক্তার, নার্স, আয়াসহ নানা অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করেন অনেকে।

ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদুল আলম জানান, বিষয়টি শোনার সাথেই আমি হাসপাতালটি পরিদর্শন করি। গাইনী ডাক্তার ছাড়াই গর্ভবতী মাকে সিজার করা ও বাচ্চাটির কপাল কেটেঁ ফেলার অভিযোগে হাসপাতালের মালিক পলাশ ও কর্মরত আয়া চায়নাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হাসপাতালটির বিভিন্ন অনিয়মসহ এই ঘটনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান। 

 

এসকেএইচ//