• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২, ১২:৪৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২, ০৬:৫২ এএম

গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরী আর নেই

গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরী আর নেই
সংগৃহীত ছবি

জনপ্রিয় গীতিকার ও জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরী আর নেই।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে দশটায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

জ্যোতিষ শাস্ত্র ও রাশিফল লিখেও জনপ্রিয়তা পান এই গীতিকার। কাওসার আহমেদ চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা ছিল চলচ্চিত্র নির্মাণ।

স্বজনার জানান, কাওসার আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যা ও রক্তের সংক্রমণসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। আগে তিনি দুইবার স্ট্রোক করেছেন।

গত বুধবার প্রথমে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। পরে ধানমণ্ডি ক্লিনিকে স্থানান্তর করা হয় তাকে।

কাওসার আহমেদ চৌধুরী বেশি পরিচিতি পেয়েছেন রাশিফল লিখে। এর আড়ালে রয়ে গেছে তার গীতিকবি, মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রশিল্পীর পরিচয়। মুজিবনগর সরকারের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধের গোয়েন্দা হিসেবে তথ্য সংগ্রহের কাজ করেছেন তিনি।

কণ্ঠশিল্পী খন্দকার ফারুক আহমেদের মাধ্যমে গান লেখা শুরু কাওসার আহমেদ চৌধুরীর। কয়েকটি কালজয়ী গানের মধ্যে রয়েছে কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া- যেখানেই সীমান্ত তোমার সেখানেই বসন্ত আমার, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর- আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে, লাকী আখন্দের- আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না, সামিনা চৌধুরীর গাওয়া- কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে এবং সৈয়দ আবদুল হাদীর কণ্ঠে- চলনা জলসা ঘরে এবার যাই।

৯০ দশকের দিকে ব্যান্ডের জন্য গান লেখেন কাওসার আহমেদ চৌধুরী। যার মধ্যে ফিডব্যাকের- মৌসুমি কারে ভালোবাস তুমি, আইয়ুব বাচ্চুর- এই রুপালি গিটার ফেলে, ফেরদৌস ওয়াহিদের কণ্ঠে- পলাতক সময়ের হাত ধরে ও নিলয় দাসের গাওয়া- কত যে খুঁজেছি তোমায় উল্লেখ করার মতো।

জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর ভালো লাগার সূচনা হয়েছিল ছোটবেলা থেকেই। তিনি দৈনিক প্রথম আলোতে আপনার রাশি নামে রাশিফল লেখার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

১৯৪৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর সিলেট জেলায় জন্ম কাওসার আহমেদ চৌধুরীর। চিত্রশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। নির্মলেন্দু গুণের প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রেমাংশুর রক্ত চাই এর প্রচ্ছদ-নকশাও করেছেন তিনি।

লিখতেন কবিতাও। শুধু দেশেই নয় কলকাতার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তার কবিতা। একমাত্র কবিতার বই ঘুম কিনে খাই। লিখেছেন বেশ কিছু রাশিফলের বই।

জাগরণ/জাতীয়/শোক/এসএসকে