• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২২, ০৩:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৩১, ২০২২, ০৩:৫৮ পিএম

‘দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি’

‘দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি’

আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, দেশে আর কোন দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা জাতীয় সরকার হবে না। ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বিএনপি দেশ বিরোধী শত্রু দের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের দিবাস্বপ্ন দেখছে। বিএনপি যে জাতীয় সরকারের কথা বলছে তা হবে- ‘রাজাকার, আলবদর, জামায়াতসহ বাংলাদেশ বিরোধী শত্রুদের সরকার’। 

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের বৃহত্তম, সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দল। এ দলটির নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে এবং ৫০-৬০ ভাগ মানুষ সরাসরি আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। আওয়ামী লীগকে বাদ নিয়ে জাতীয় সরকার করবে বিএনপি- সেটি কী জাতীয় সরকার হবে? 

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদেরকে এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে- দূরে ঠেলে দিয়েছে। জাতীয় সরকার, রাজাকার-আলবদরের সরকার, বিএনপি-জামায়াতের কোন সরকার বাংলাদেশে হবে না। জনগণের ভোটে যারা সংসদে বেশি আসন পাবে তারাই দেশে সরকার গঠন করবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পৃথিবীর কোন দেশে জাতীয় সরকার হয় না। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ জরুরি পরিস্থিতিতে এটি গঠিত হয়। কাজেই বাংলাদেশে কোন দিন জাতীয় সরকার হবে না।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। জঙ্গি সৃষ্টি করেছিল, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছিল, মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। 

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত ১৬ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। সবমিলিয়ে বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই ও একদম জনবিচ্ছিন্ন। সেজন্য বিএনপি নির্বাচন মানে না- নির্বাচনে আসে না। বার বার শুধু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- এদেশে আর কোনদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান আমাদের সংবিধানে নেই, পৃথিবীর কোন সংবিধানেও নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। 

ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন- টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক। প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি। 

মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার। সম্মেলনে বিশেষ বক্তা হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ বক্তব্য রাখেন। 

জাগরণ/আরকে