• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৮, ২০২২, ১২:২৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৮, ২০২২, ১২:২৫ এএম

উত্তরাঞ্চলে তীব্র পেট্রল সংকট

উত্তরাঞ্চলে তীব্র পেট্রল সংকট
ফাইল ফটো

ঈদের ছুটিতে সরবরাহ কমায় উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার ফিলিং স্টেশনে পেট্রলের সংকট তীব্র হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭ মে (রোববার)-এর মধ্যে উত্তরের বিভিন্ন জেলায় ১৭ লাখ লিটার পেট্রল ও অকটেন সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন পদ্মা অয়েলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক হারিস আহমেদ সরকার।

পেট্রলের সংকটে চরম ভোগান্তিতে যানবাহন চালকরা।

এপ্রিলের শুরুতেই দেশের উত্তরের জেলাগুলোয় কিছুটা পেট্রলের ঘাটতি ছিল। ঈদের ছুটিতে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ডিপো থেকে জ্বালানি তেলের সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় এবং পেট্রল চালিত যানবাহন চলাচল বাড়ায় উত্তরবঙ্গে প্রকট হয়েছে এ সংকট।

গত এক সপ্তাহ ধরে পাবনার ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রল না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন যানবাহনের চালকরা। বিকল্প হিসেবে বেশি দামের অকটেন ব্যবহার করলেও বৃহস্পতিবার থেকে সেটিও ফুরিয়ে গেছে।

নাটোরের কিছু কিছু ফিলিং স্টেশনে অকটেন মিললেও চাহিদার তুলনায় তা কম। ২/১ দিনের মধ্যেই এই মজুদ শেষ হয়ে যাবে, জানিয়েছে ফিলিং স্টেশনগুলো।

নীলফামারীর ৩৬টি ফিলিং ষ্টেশনের বেশিরভাগেই কোন পেট্রল নেই। পাম্প মালিকদের অভিযোগ-  তেল সরবরাহের সাথি জড়িত বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কারণেই উত্তরের জেলাগুলোয় এ সংকট তৈরি হয়েছে। তবে চাহিদা কম থাকায় পাম্পগুলোতে ডিজেলের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।

জ্বালানি তেল না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন পেট্রল চালিত যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। দ্রুত পেট্রোল ও অকটেনের সরবারহ স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

১০ জুনের মধ্যে বাঘাবাড়ি ডিপোতে তেল সরবরাহ নিয়ে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা না নিলে, উত্তরবঙ্গে তেল উত্তোলন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। 

বেলা ১১টায় বগুড়ার বেতগাড়িতে পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিভাগীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ডিপোর তেল নেয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়। সেই সাথে, তৃতীয় পক্ষকে এ দায়িত্ব দেয়াসহ অটোমেশনের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের প্রস্তাব করা হয়।

বক্তারা জানান, বাঘাবাড়ি ডিপোতে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, চাদাবাজি বন্ধের ব্যবস্থা না নিলে, উত্তরবঙ্গে তেল উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হবে। বর্তমান সংকট থেকে উত্তরনের ব্যাপারে জানানো হয়, ৭-১০ দিন কোম্পানিগুলো যদি ঠিকভাবে তেল সরবরাহ করে তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান সম্ভব।

জাগরণ/জ্বালানি/কেএপি/এমএ