• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২২, ০৪:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৪, ২০২২, ০৪:৪১ পিএম

ক্ষমতার উৎস জনগণ ও ক্ষমতা দেয়ার মালিক আল্লাহ

ক্ষমতার উৎস জনগণ ও ক্ষমতা দেয়ার মালিক আল্লাহ
ফাইল ছবি

বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হবে না- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কাউকে ক্ষমতায় রাখা বা না রাখার ক্ষেত্রে বিএনপির কিছু করার নেই। তিনি মনে করেন, ক্ষমতা দেয়ার মালিক সৃষ্টিকর্তা আর ক্ষমতার উৎস জনগণ।

গত জাতীয় নির্বাচনে গণফোরাম নেতা কামাল হোসেনকে ‘ইমাম’ মেনে ভোটে যাওয়া ভুল হলে এবার বিএনপির ‘ইমাম’ কে হবে- সেটিও জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে এই প্রশ্ন রাখেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী।

সরকারকে টেনে নামানোর বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকতে দেয়া না দেয়ার বিএনপি কে? ক্ষমতার উৎস এ দেশের জনগণ এবং ক্ষমতা দেয়ার মালিক মহান আল্লাহ।

‘জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং আছে, জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে। বিএনপির চাওয়া না চাওয়ায় কোনো কিছু আসে-যায় না।’

আগের দিন রাজধানীতে এক আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপির মতো একটি জনপ্রিয় দল গিয়ে ড. কামাল হোসেনকে ইমাম বানিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের আগে, তিনি বললেন নির্বাচনই করবেন না। এই ফ্রন্টে আমরা এত কষ্ট করে যে রূপরেখা বানালাম, ড. কামাল হোসেনের নির্বাচন না করার কারণে ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনা সেদিন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ফলে বিএনপির মতো একটি দলকে এই ফ্যাসিবাদী সরকার পাঁচ বা ছয়টি আসন দিয়ে বিদায় করে দেয়।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি তার জোট ২০ দলের পাশাপাশি গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে নিয়ে গঠন করে আলাদা জোট। ব্যক্তি হিসেবে যোগ দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন।

ছোট দল হলেও বিস্ময়করভাবে বিএনপি জোটের প্রধান নেতা হিসেবে সামনে নিয়ে আসে গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনকে, যিনি কোনো নির্বাচনের ভোটে কখনও জিততে পারেননি।

সেই নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট মোট ছয়টি আসনে জেতে। পরে স্থগিত একটি আসনে জয় পাওয়ার পর আসনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭টি।

নির্বাচনের পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা ড. কামাল হোসেনের প্রতি নানাভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টি নিয়ে অনেকটাই চুপ ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ আগামী নির্বাচনে বিএনপির ইমাম কে- তাও জানতে চায়।’

সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়তে বিভিন্ন দলের সঙ্গে বিএনপির আলোচনার প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, ‘নামসর্বস্ব দলের সঙ্গে ঐক্য ভোটের মাঠে প্রভাব ফেলবে না।

‘আসলে ঐক্যের নামে বিএনপি এবং তার দোসররা মূলত শেখ হাসিনা সরকারকে হটানোর জন্য দেশ-বিদেশে চক্রান্ত করছে। তাদের এ চক্রান্ত প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।’

বিএনপি জাতীয় সরকার গঠনের যে কথা বলছে তা নিয়েও কথা বলেন কাদের। বলেন, ‘আগামী নির্বাচন জয়ী হলে জাতীয় সরকার গঠন করার বিষয়ে বিএনপি এবং তার সহযোগীরা একমত হয়েছেন। স্বপ্ন তো তারা বারবার দেখেন, গত নির্বাচনেও ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলেন, তাদের স্বপ্নে দেখা জাতীয় সরকার এবারও জাতির সঙ্গে জাতীয় তামাশা কি না তা দেখা যাবে।

‘বিএনপি এখন সরকার গঠনের দিবাস্বপ্নে জনসম্পৃক্ততাহীন কিছু নেতা নিয়ে ঐক্য করছে। কথিত এই ঐক্য ভোটের মাঠে কোনো প্রভাব ফেলবে বলে জনগণ মনে করে না।’

ব্রিফিংয়ের আগে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি ডানা এল ওল্ডস।