• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২২, ১২:৫০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৯, ২০২২, ১২:৫০ এএম

এবার বাড়ছে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম

এবার বাড়ছে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম

জ্বালানি তেলের পর, এবার বাড়তে পারে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম। একথা জানিয়েছেন স্বয়ং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। 

তিনি বলছেন, বিশ্ববাজার পরিস্থিতির কারণেই এবারের দাম বৃদ্ধি হবে। তবে এর বিরোধিতা করে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, গ্যাসের আমদানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমেছে। তাই দাম কমাতে হবে। 

গেল জুনে বেড়েছে পাইপ লাইনে সরবরাহ করা গ্যাসের দাম। দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে স্পট মার্কেট থেকে কেনা তরল গ্যাসের দাম পাঁচগুণ বাড়ার কারণ উল্লেখ করা হয়েছিলো। 

স্পট মার্কেট থেকে কেনা গ্যাসের সরবরাহ ছিল দৈনিক প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘন ফুট। কিন্তু গেলো মাসের শেষ দিকে এই গ্যাস আর না আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। 

এতে গ্যাস আমদানিতে যে অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছিল, এখন আর সেটি হচ্ছে না। সেই সাথে বেশি দামের গ্যাস দিয়ে এখন আর বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনও বন্ধ। 

ফলে, বিদ্যুতের সার্বিক উৎপাদন খরচও কমেছে। এই অবস্থায় নতুন করে গণশুনানীর মাধ্যমে গ্যাস বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার দাবি জানিয়েছে, ভোক্তা সংগঠন ক্যাব। 

ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী সংগঠন ক্যাব বলছে, গ্যাস সরবরাহে রেশনিং এবং বিদ্যুতের লোডশেডিং করার পরও দাম বাড়ানো হলে তা ন্যায়সঙ্গত হবে না।

ক্যাবের দাবি পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলছেন কমিশনের সদস্যরা। যদিও প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মনে করেন, বিশ্ববাজার পরিস্থিতিতে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে। 

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে গ্যাসের চড়া দামের কারণে ব্যয় এবং ভর্তুকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেজন্য দেশের রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়ছে। ফলে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে হবে। 

পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর সরকারি প্রস্তাব নিয়ে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের উদ্যোগে এরই মধ্যে গণশুনানি হয়ে রয়েছে।

গত মে মাসে অনুষ্ঠিত সেই শুনানিতে ক্যাব এবং ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের সংগঠনগুলো তীব্র বিরোধিতা করেছিল বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের। যদিও কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি।

বর্তমানে গ্যাসের দৈনিক সরবরাহ প্রায় দুই হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট। আর পিক আওয়ারে বিদ্যুতের উৎপাদন প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট।

এর আগে, গেলো শুক্রবার রাতে সরকারের পক্ষ থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসে। এখন এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে ১১৪ টাকা লাগছে।

আর এক লিটার অকটেনের জন্য দিতে হচ্ছে ১৩৫ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রলের দাম রাখা হচ্ছে ১৩০ টাকা। এরপরই নতুন দামের সঙ্গে সমন্বয় করা হয় গণপরিবহনের ভাড়া।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমন্বয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের লোকসান কমানোসহ পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। 

জাগরণ/বিদ্যুৎওজ্বালানি/এমএ