• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২, ১১:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২, ২০২২, ১১:০৩ পিএম

অক্টোবরে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র

অক্টোবরে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র
ফাইল ফটো

বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে বহুল আলোচিত রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হচ্ছে সামনের অক্টোবর মাস থেকেই। 

চলতি সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় সুপার থারমাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হতে পারে। 

২৭৫ মিটার দীর্ঘ চিমনি বহু দূর থেকেই বলে দিচ্ছে এটি রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর পাশেই রয়েছে বিশ্বের সবচে বড় মানগ্রোভ বন সুন্দরবন আর তাকে ঘিরে মানুষের জীবন-জীবিকা।

এই কেন্দ্রের ৮২ শতাংশ কাজ এরিমধ্যে শেষ হয়েছে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ খুলনা অঞ্চলের জন্য একটি লাইনে ৬৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারবে কেন্দ্রটি। 

কেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানি করা হবে ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকার থেকে। কয়লার দামের উপরই নির্ভর করবে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম কত হবে। 

প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে বলেন, এ কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ আমদানি করা কয়লার দামের ওপর নির্ভর করে এবং তাও পরিবর্তনশীল। 

এটা নির্ভর করে বাইরের কয়লার দামের ওপর এবং আমদানি করা কয়লার বাজার মূল্যের ওপরও। কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়লা আমদানি করা হবে।

তিনি জানান, প্রায় ৫০,০০০ মেট্রিক টন কয়লা ইতোমধ্যে কেন্দ্র এলাকায় পৌঁছেছে। সেপ্টেম্বরে কয়লা বোঝাই আরও দুটি জাহাজ আসবে।

ইউনেস্কোর শঙ্কা, রামপাল পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। প্রকল্প পরিচালক বলছেন, পরিবেশের উপর ঝুঁকির মাত্রা সর্বনিম্ন রাখতে সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, একটি দীর্ঘমেয়াদি কয়লা চুক্তিিএরই মধ্যে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তবে কিছুটা সময় লাগবে। 

পাণ্ডে বলেন, দৃশ্যত পরিবেশগত সমস্যাগুলোকে মোকাবেলার জন্য, চারটি বিশাল শেড নির্মাণ করা হচ্ছে, যার কয়লা মজুত ক্ষমতা দশ লাখ মেট্রিক টন। 

মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পটি ভারত সরকারের কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের অধীনে নির্মিত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের জন্য নির্মাণ করছে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড। 

প্রকল্পটি ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার  ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের মধ্যে একটি ৫০:৫০ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি। ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা চালিত তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে স্থাপন করা হচ্ছে এবং এটি খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার রামপালে অবস্থিত।

চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ভৌত অগ্রগতি ৮৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক ০৫ শতাংশ, যার ব্যয় ১৩ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক মোট ১৬,০০০ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে প্রায় ১২,৮০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে।

জাগরণ/জ্বালানি/এসএসকে