• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ১২:৩৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ১২:৩৫ এএম

নিম্নচাপ ও পূর্ণিমা

প্লাবিত উপকূলের নিচু এলাকা

প্লাবিত উপকূলের নিচু এলাকা
ফাইল ফটো

নিম্নচাপ আর পূর্ণিমার জোয়ারের অস্বাভাবিক পানি বেড়েছে সাগরে। প্রায় দুই থেকে তিন ফুট পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে উপকূলের নিচু এলাকা। 

জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। বাড়িতে রান্নাও বন্ধ রয়েছে কারও কারও। ভোর থেকে অবিরাম বৃষ্টি ও পূর্ণিমার জোয়ারে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

সমুদ্র উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। 

আবহাওয়া অফিস জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ আরো দু'দিন থাকবে। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে নিম্নাঞ্চল। বুধবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। 

সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে উত্তাল বঙ্গোপসাগর। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে কুয়াকাটা সৈকতে। এরই সঙ্গে চলছে বৃষ্টি। 

পূর্ণিমার কারণে সাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট বেশি বেড়েছে। এতে তলিয়ে গেছে কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, গলাচিপাসহ উপকূলের নিচু এলাকা। 

শহর রক্ষা বাঁধের কয়েকটি পয়েন্টে স্লুইস গেটের রেগুলেটর কাজ না করায় পটুয়াখালী শহরের অনেক রাস্তায় এখন পানি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী ও যানবাহন চালকরা।

টানা দু’দিনের বৃষ্টি ও জোয়ারে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জলমগ্ন হয়েছে বিভিন্ন উপজেলার অন্তত শতাধিক গ্রাম। বাদ যায়নি বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা পৌর শহরও।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ নিম্ন চাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। কোনো কোনো ট্রলার রোববার রাতেই লোকালয়ে ফিরে এসেছে।

সুন্দরবনের নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বেড়েছে তিন থেকে চার ফুট। এতে শরনখোলায় তলিয়ে গেছে আমনের বীজতলা। 

জেলেরা আশ্রয় নিয়েছে দুবলার চর, আলোর কোল, ভ্যাদাখালী, নারকেল বাড়িয়া, কটকাসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে।

পানির কারণে সুন্দরবন ভ্রমনে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন পর্যটকরা। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রেসহ বনের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটা পথ পানিতে তলিয়ে গেছে।

লঘু চাপ, ভারী বৃষ্টি ও পূর্ণিমার প্রভাবে ভোলায় সকাল থেকেই বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এ কারণে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

মেঘনার পানি বেড়ে উপকূলের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ। বেড়ি বাধের বাইরে পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ জনপদ। ডুবে গেছে ইলিশা ফেরিঘাট।

ঝালকাঠিতেও শনিবার বিকেল থেকে বৈরি আবহাওয়া অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে লঘু চাপের সঙ্গে পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারে স্থানীয় নদীগুলোতে পানিও বেড়ে চলছে।

ভাটায় পানি নেমে গেলেও প্রতিদিন দু’দফা জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে নদী পাড়ের গ্রামাঞ্চল। রোববার ও সোমবার ভোর থেকেই থেমে থেমে মাঝারি বৃষ্টি পড়ছে। 

জেলা শহরের সুগন্ধা পাড়ের নতুন চর ও কাঠপট্টির কলাবাগান এলাকায় নতুন করে পানিবৃদ্ধিতে দুর্ভোগে পড়েছেন অসংখ্য পরিবার।

একইভাবে কক্সবাজারে জোয়ারের পানিতে প্লাবিতে হয়েছে মহেশখালী, কুতুবদিয়ার, চকরিয়া ও সদর উপজেলার নিচু এলাকা। মাছ ধরার ট্রলার গুলো আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন চরে। 

জাগরণ/পরিবেশ/এসএসকে/কেএপি/এমএ