
দেশের সবগুলো গ্রিড লাইন সচল হয়েছে। তবে সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সঞ্চালনকারী সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েন রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।
পিজিসিবি'র নির্বাহী পরিচালক মাসুম আলম বকসী জানান, এরই মধ্যে ঘোড়াশাল ও টঙ্গীসহ কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের কিছু এলাকায়ও বিদ্যুৎ এসেছে। তবে সব এলাকায় বিদুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (অক্টোবর) দুপুর ২ টা ৪ মিনিটে হঠাৎ করেই রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাহ, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রথমে স্বাভাবিক লোডশেডিং মনে হলেও পরে জানা যায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ বিপর্যয়।
বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক পেট্রোল পাম্প বন্ধ হয়ে যায়। জেনারেটর চালাতে ডিজেলের চাহিদা বাড়ায় ফিলিং স্টেশনগুলোতে ভিড় করেন গ্রাহকেরা।
বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম পানি সংকটে পরেন নগরবাসী। আর আলো জ্বালাতে চাহিদা বাড়ায় চার থেকে ৫ গুণ দামে মোমবাতি বিক্রির অভিযোগ অনেকের।
একই সাথে এতোগুলো গ্রিডে কিভাবে বিপর্যয় হলো তা নিশ্চিত করতে পারেনি বিদ্যুৎ সঞ্চালনকারী সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে সংস্থাটি।
জাগরণ/বিদ্যুৎওজ্বালানি/এসএসকে