• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২২, ০১:২৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৩, ২০২২, ০১:২৭ এএম

দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা

দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা
প্রতীকী ছবি

বিউটি পার্লারের (রূপসজ্জা) হোম সার্ভিসের কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে এক বিউটিশিয়ানকে (২৫) ধর্ষণ করেছে তিন যুবক। পরে পাঁচ মাসের ওই অন্তঃসত্ত্বাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়া হয়।  মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের শুক্রাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার (১২ অক্টোবর) ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্যে এরই মধ্যে ঘটনাস্থল শনাক্ত করে জড়িত তিন বন্ধুর নাম-পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ।

ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া জানান, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ শুরু করে পুলিশ। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

ভুক্তভোগীর ভাই জানান, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় স্বামীর সঙ্গে থাকেন তার বোন। ভগ্নিপতি অনলাইনভিত্তিক জুতার ব্যবসা এবং বোন বাসায় গিয়ে রূপসজ্জার কাজ করেন। মঙ্গলবার তিনি সাভারে এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন। ফোন করে তাকে একটি রূপসজ্জার কাজের প্রস্তাব দেয়া হয়। চূড়ান্ত হওয়ার পর রাত ৮টার দিকে তার বোন শুক্রাবাদের ওই বাসায় গিয়ে তিন যুবক ও এক নারীকে পান। প্রথমে তারা মারধর করে। এক পর্যায়ে তিন যুবক তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। গর্ভাবস্থার কথা জানিয়ে অনুনয় করেও রক্ষা পাননি তিনি।

ধর্ষণের পর রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগীকে চুপচাপ চলে যেতে বলে বখাটেরা। ঘটনা জানাজানি হলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নেয় তারা। পরে শুধু সিমকার্ড ও ১০ টাকা তার হাতে ধরিয়ে দেয় বখাটেরা। ওই পরিস্থিতিতে তিনি চুপচাপ সেখান থেকে বের হয়ে সাভারের উদ্দেশে রওনা হন এবং বাসে অন্য একজনের সহায়তায় বিষয়টি ফোন করে স্বামীকে জানান। সাভারের ওই বাসায় গিয়ে তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। পরে তাকে স্থানান্তর করা হয় ঢামেক হাসপাতালে।

ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করে আসছেন ওই তরুণী। মূলত আগ্রহীরা অনলাইনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফোনে কাজের কথা চূড়ান্ত হলে নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে রূপসজ্জার কাজ করেন তিনি। আগে কখনও তিনি এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হননি। ঘটনাস্থলে থাকা নারী মূলত ধর্ষকদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। ভুক্তভোগীর সামনেই তাকে টাকা দিয়ে বিদায় করে ধর্ষকরা। ঘটনার সময় ওই চারজন ছাড়া বাসায় কেউ ছিল না।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, শারীরিক অবস্থা ভালো না হলেও ধর্ষকদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে সব রকম তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন তরুণী। এমনকি চিকিৎসকরা আপত্তি জানালেও তিনি পুলিশের সঙ্গে গিয়ে বাসাটি চিনিয়ে দেন।  শুক্রাবাদ মসজিদের পাশে দোতলা বাসাটি পরিদর্শন করে পুলিশ। এ সময় ওই বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকা রিয়াদ নামে এক যুবককে তিন ধর্ষকের একজন বলে জানান ভুক্তভোগী। যদিও ভুক্তভোগীর এ অভিযোগ মানতে নারাজ রিয়াদের পরিবারের সদস্যরা। তারা উল্টো ভুক্তভোগীকেই গালমন্দ করেন। অভিযুক্ত রিয়াদের বোনসহ পরিবারের একাধিক সদস্য টিকটক ভিডিও তৈরি করেন বলে জানা গেছে। সেখানে এমন কিছু সরঞ্জামও পেয়েছে পুলিশ।

জাগরণ/অপরাধ/এসএসকে