• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২২, ১২:২৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৮, ২০২২, ১২:২৬ এএম

আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজিত হেফাজত নেতা মামুনুল

আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজিত হেফাজত নেতা মামুনুল
সংগৃহীত ছবি

নাশকতার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক জানিয়েছেন তাকে সন্ত্রাসী সাজাতে একেক সময়ে একেক নাটক করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষণিকার আদালত থেকে বের করে কারাগারে নেয়ার সময় উত্তেজিত হয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুলের বিচার চলছে এই আদালতে।

আদালত প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে জাতির কাছে চিহ্নিত করার জন্য একেক দিন একেকভাবে নাটক সাজানো হয়েছে। আমার দুই হাতে হাতকড়া পরানো হয়েছে।

বর্তমানে নাশকতার এ মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। তবে সোমবার (১৭ অক্টোবর) মামলার কোনও সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানাধীন মধ্য পীরেরবাগ এলাকায় বিএনপি এবং জামায়াতের নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেয়।

এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খন্দকার রাজিব আহমেদ বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ মামুনুল হকসহ ৬৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন এসআই রফিকুল ইসলাম। ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

গত বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়রা মামুনুল হককে আটক করেন।

পরে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাংচুর করে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী।

ওই বছরের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়।

জাগরণ/অপরাধ/এসএসকে