• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ১২:০৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ১২:০৬ এএম

স্বয়ংক্রিয় মেশিন থেকে টিকিট কাটতে

স্বয়ংক্রিয় মেশিন থেকে টিকিট কাটতে
ছবি ● সংগৃহীত

দেশের প্রথম মেট্রোরেলে ঢাকার উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভ্রমণ করা যাবে। এই ট্রেনে চড়তে একজন যাত্রীকে বিশেষ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। 

মেট্রোরেলে চড়ার জন্য প্রথমে স্টেশনে আসতে হবে যাত্রীদের। প্রতিটি স্টেশন হবে তিন তলাবিশিষ্ট, উত্তরা নর্থ স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করবে মেট্রোরেল।

সড়ক থেকে সিঁড়ি বা চলন্ত সিঁড়ি কিংবা এস্কেলেটরে করে যাত্রীদের যেতে হবে স্টেশনের দোতলায় কনকোর্স এলাকায়। সেখানেই থাকবে টিকেট কাউন্টার। 

মেট্রোরেলের টিকেট বা মেট্রোপাস কাউন্টার থেকে যেমন কেনা যাবে। তেমনি একজন যাত্রী নিজেই স্টেশনে থাকা বুথ থেকে মেট্রোপাস কিনতে পারবেন। 

সিঙ্গেল এন্ট্রি ও ১০ বছর মেয়াদের টিকেট কার্ডও সংগ্রহ করা যাবে। তবে, ১০ বছর মেয়াদি টিকেটের জন্য ২০০ টাকা জামানত রাখতে হবে। প্রথমবার রিচার্জ করতে হবে ২০০ টাকা।

টিকেট কাউন্টার ছাড়াও সবকটি মেট্রোরেল স্টেশনের দ্বিতীয় তলায় থাকবে ট্রেন পরিচালনা কক্ষ, কর্মকর্তাদের অফিস এবং ওয়েটিং রুম। আবার, পথচারীরা স্টেশনের দ্বিতীয় তলা ফুটওভার ব্রিজ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রতিটি স্টেশনেই বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য থাকবে লিফটের ব্যাবস্থা। থাকবে চলন্ত সিড়িও। স্টেশনের ভেতরে গর্ভবতী নারীদের জন্য আছে আলাদা কক্ষ। 

থাকবে ছোট বড় নানারকম পণ্যের দোকান। ফলে এই স্টেশনগুলোতে সময় কাটানোর সুযোগ থাকবে। পুরো স্টেশনে সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিরপত্তা নিশ্চিত করা হবে। কেউ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করলে তাদের আটক করে রাখার জন্যেও আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে।

টিকেট নিয়েই যাত্রীরা মূলত তৃতীয় তলায় উঠবেন। এটাই রেলের প্ল্যাটফর্ম। ট্রেনগুলো প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর পর ট্রেনের গেট ও নিরপত্তা গেট একসাথে খুলে যাবে। ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মধ্যে যে সামান্য ফাঁক আছে সেটির কারণে যেন কোন দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্যই এই ব্যাবস্থা। 

মেট্রোরেল স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে উঠতে সিঁড়ি ও এস্কেলেটরের পাশাপাশি বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য থাকবে লিফট। 

প্ল্যাটফর্ম আর ট্রেনের মাঝামাঝিতে থাকবে ‘প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (পিএসডি)’। নিরাপত্তার জন্য পিএসডি’র কাছে না দাঁড়িয়ে হলুদ দাগের বাইরে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করবেন যাত্রীরা।

প্রতিটি স্টেশনে পৌছানোর আগেই ট্রেনের ভেতরে স্বয়ংক্রিয় কণ্ঠে সেই স্টেশনের নাম শোনা যাবে। যা বলা হবে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায়। ঢাকার যাত্রীসংখ্যা ও বিপুল মানুষের উঠা নামার সুবিধা বিবেচনা করে ট্রেনের গেটগুলো অন্য যে কোন দেশের তুলনায় বড় রাখা হয়েছে।

প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামতেই খুলে যাবে ‘প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর’, গন্তব্যে আসা যাত্রীরা নামার পর উঠতে হবে। গন্তব্যে পৌঁছে ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে নেমে সিঁড়ি, এস্কেলেটর কিংবা লিফট ধরে যাত্রীদের নেমে আসতে হবে দোতলার কনকোর্স লেভেলে।

স্টেশন থেকে বের হওয়ার জন্য দোতলায় আবারও পাবেন অটোমেটেড দরজা। এমআরটি পাসধারী হলে, নির্ধারিত জায়গায় টিকেট পাঞ্চ বা একক যাত্রার টিকেট হলে নির্ধারিত জায়গায় টিকেটটি প্রবেশ করাতেই খুলে যাবে দরজা, শেষ হবে ভ্রমণ।

জাগরণ/যোগাযোগ/মেট্টোরেল/কেএপি/এসএসকে