
দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। দুদক কমিশনার জহুরুল হক জানান, প্রয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও সহায়তা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
গ্লোবাল ফিন্যানসিয়াল ইন্টিগ্রেটেড তথ্য অনুযায়ী, বছরে ৬৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়।
২০২০ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথ্য দেন, কানাডার বেগম পাড়ায় পাচারের টাকায় বাড়ি কিনেছেন অনেক বাংলাদেশি। এর পরপরই অনুসন্ধানে নামে দুদক।
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদের খবর আসে গণমাধ্যমে। এ সংক্রান্ত একটি রিটের প্রেক্ষিতে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। দুদকসহ তিন প্রতিষ্ঠানকে অনুসন্ধান করতে বলেছে আদালত। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে দুদক।
দুদক কমিশনার জহুরুল হক জানান, দুবাইতে বাংলাদেশিদের সম্পদের খোঁজে গোয়েন্দা তৎপরতা চালাবে দুদক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য থেকেও তথ্য নেয়া হবে।
সুইস ব্যাংকে টাকা পাচার ও কানাডার বেগম পাড়া নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছে দুদক। কিন্তু তথ্য না পাওয়ায় অনুসন্ধানে তেমন অগ্রগতি নেই।
জাগরণ/দুদক/এসএসকে